যে মোবাইল গেমসে বাচ্চাদের আসক্তি নিয়ে পরিবারের দুশ্চিন্তা, সেই মোবাইল গেমসেই মিলবে দেশ কে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ! দেরীতে হলেও ই-স্পোর্টসকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। এবার লক্ষ্য বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।
বিশ্ব ফুটবলের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। সেই ফুটবলের অনলাইন গেমস ফিফা সিরিজ কিংবা পেস গেমস বাচ্চা কিংবা তরুণ সবার কাছেই বেশ জনপ্রিয়। এবার রোড টু রিয়াদ ই-স্পোর্টস ২০২৫ কে সামনে রেখে কাজ শুরু করছে বাফুফে।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘বিএফএফের আয়ের একটা জায়গা আছে। আবার যারা খেলবেন তাদেরও একটা কমার্শিয়াল লাইবেলিটির জায়গা আছে।’
রকেট লিগ, ই-ফুটবল কন্সোল ও ই ফুটবল মোবাইল ৩ ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে টিম বাংলাদেশ। বিজয়ী খেলোয়াড়দের সুযোগ থাকছে বাংলাদেশ কে এশিয়া ইস্ট এবং ওশেনিয়া অন লাইন রিজিওনাল কোয়ালিফায়ার্সে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ। মিলবে মোটা অংকের আর্থিক পুরস্কার।
আরও পড়ুন:
তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘যুব সমাজ কিন্তু ই-ফুটবলের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। তাই আমরা বাংলাদেশের জার্সি পড়ে, বাংলাদেশের পতাকা হাতে নিয়ে রোড টু রিয়াদে যাত্রা শুরু করছি।’
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের নারী ফুটবলে বেশ কিছু সাফল্যের দেখা মিললেও দেশের ফুটবলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে চরম দৈন্যদশা। মেয়েদের ও ছেলেদের টিম ভাগ করে পুরোপুরি ওয়েবসাইটে পুরোপুরি আধুনিকায়ন করতে চায় বাফুফে। বিপিএলের ক্লাব গুলোকেও ডিজিটাল ফেইজে যুক্ত করতে চান সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘আমাদের ভিশন আছে আমাদের ওয়েবসাইটটাকে ডেভেলপ করা। আমাদের পরবর্তী ভিশন হলো মেয়েদের টিম, ছেলেদের টিম বা লিগ যত বড় হবে এক্টিভিটি সেগুলোকে স্পিন অফ করে করে ডেডিকেটেড ওয়েবসাইট, ফেসবুক সাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করা। বাংলাদেশের একটা অ্যাপ থাকা দরকার, যে অ্যাপের মাধ্যমে অনেক তথ্যও পাওয়া যায় এবং কমার্শিয়াল অনেক ভেঞ্চারসও ক্রিয়েট করা যায়।’
মাঠের খেলা ও ভার্চুয়াল ফুটবলে যোগসূত্র দেখতে চায় বাফুফে। হামজা চৌধুরী ও দেশের বাইরের লিগে খেলোয়াড়রা আগে থেকেই আছেন ই ফুটবলে। এবার র্যাংকিংয়ের উন্নতি ঘটলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশি ফুটবলারদের প্রোফাইল ও দেখা মিলবে অনলাইন গেমসে।