মেয়াদোত্তীর্ণ টার্ফে হবে না আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট; আর্থিক সহায়তার আশ্বাস এনএসসিওর

বাংলাদেশের হকি খেলোয়াড়দের অনুশীলন
এখন মাঠে
2

এক বছরের বেশি সময় ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ টার্ফে অনুশীলন এবং ম্যাচ খেলছেন বাংলাদেশের হকি খেলোয়াড়রা। এমন টার্ফে ঘরোয়া টুর্নামেন্ট আয়োজনে বাধা না থাকলেও, আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যাবে না। যে কারণে এবার নড়েচড়ে বসেছে এডহক কমিটি। নতুন টার্ফ প্রতিস্থাপনের প্রায় ১৫ কোটি টাকার জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে। সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে এনএসসিও।

দশ বছরের বেশি সময় হলো মাওলানা হকি স্টেডিয়ামে সবুজ টার্ফ উঠিয়ে বসানো হয়েছে নীল টার্ফ। এ সময়ে জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক, স্কুল থেকে ক্লাব বিভিন্ন পর্যায়ের খেলা গড়িয়েছে এ টার্ফে।

তবে একবছর আগেই মেয়াদ শেষ হয়েছে নীল টার্ফটির। এশিয়ান কাপে অংশগ্রহণের আগে মেয়াদউত্তীর্ণ টার্ফে অনুশীলন করছে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা। এমনকি যুব বিশ্বকাপের জন্য ক্যাম্পে থাকা খেলোয়াড়দেরও চলছে এ টার্ফেই প্রস্তুতি।

তবে অনুশীলন আর দেশিয় টুর্নামেন্ট করা গেলেও মেয়াদবিহীন টার্ফে আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারবে না ফেডারেশন। যদিও এ নিয়ে মতবিরোধ আছে খোদ হকি সংশ্লিষ্টদের মধ্যেই।

বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘এটি অনেক বড় অঙ্কের বিষয়। যার জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম। এ বিষয়ে কাজ করা হবে।’

নতুন টার্ফ প্রতিস্থাপনের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে এরইমধ্যে যোগাযোগ করেছে ফেডারেশন। তবে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় লাগবে অন্তত তিন মাস।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পরিচালক হুমায়ন কবির বলেন, ‘আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা পরিদর্শন করে আসছে। এখন একটি অনুমান করে তুলে ধরবে। আমরা তাতে অনুমোদন দেব। এরপর আবার টেন্ডার নিতে হবে। এতে তিন থেকে চার মাস সময় লাগবে।’

নতুন টার্ফ বসাতে খরচ পড়বে ১২ থেকে ১৫ কোটি টাকা। এ পুরো অর্থই বহন করতে হবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে।

এফএস