চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে একেবারে খালি হাতে ফিরেছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে ক্রিকেট পাড়ায় চলছে সমালোচনার ঝড়।
বিশেষ করে হেড কোচ ফিল সিমন্সসহ গোটা কোচিং প্যানেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে চলছে আলোচনা। সঙ্গে নির্বাচক হান্নান সরকারের পদত্যাগে তৈরি হয়েছে শূন্যতা। সবমিলিয়ে আলোচনার টেবিলে ক্রিকেট বোর্ডের অভিভাবকরা।
১৮তম বোর্ড সভা থেকে কোচের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না এলেও আপাতত ফিল সিমন্সকেই ভাবনায় রাখছে বিসিবি। অন্যদিকে মেয়াদ বাড়ছে লেগ স্পিন কোচ মোস্তাক আহমেদেরও।
বিসিবির পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ‘হেড কোচ কিংবা সিনিয়র স্পিন কোচের চুক্তি মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত ছিল। সেখানে আমরা স্যাটিসফাইড, যারা এ মুহূর্তে আমাদের সঙ্গে আছে। তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করবো।’
নতুন বছর আসলেই ক্রিকেটারদের বেতন বৃদ্ধির প্রসঙ্গ আসে। ঘুরেফিরে আলোচনায় আসে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে কারা থাকছেন আর কারা বাদ পড়ছেন সেটিও। এসব নিয়েও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে ক্রিকেট বোর্ডের সভায়।
বিসিবি পরিচালক বলেন, ‘স্যালারি ও ম্যাচ ফি দুটোই বেড়েছে। বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করেছি টেস্ট ক্রিকেট যারা খেলে তাদের বাড়ানোর হার অন্যদের তুলনায় বেশি।’
বিসিবির আলোচনার টেবিলে ছিল আরো বেশকিছু এজেন্ডা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাজে পারফরম্যান্স নিয়েও হতাশ দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না নেয়াই আসরে বাজে পারফরম্যান্সের কারণ বলে মনে করছে বোর্ড।
এ বিষয়ে বিসিবি পরিচালক ফাহিম বলেন, ‘আমাদের প্লেয়াররা ভালো প্লেয়ার। আমি কাছ থেকে দেখেছি বলেই বলছি। কিন্তু তাদের ভেতরে যে আত্মবিশ্বাস, যে সাহস থাকার দরকার ওদের মধ্যে সেগুলোর যথেষ্ট অভাব আছে।’
এদিকে পূর্বাচলে নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে ন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ড রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।