মধ্যরাত থেকে সকাল হয়ে গেলেও সিলেটের আকাশের মন যেন ভালো হয় না। টানা বর্ষণে লাক্কাতুরার তৃতীয় দিনের প্রথম সেশন বৃষ্টি বিলাসেই কাটলো খেলোয়াড় ও মাঠে আগত সবার।
আড়মোড়া ভেঙ্গে খেলা শুরু হয় বেলা ১টায়। সাথে আকাশেও দেখা মেলে রোদের ঝলকানি। সারারাত চাদরে মোড়ানো উইকেট নিয়ে যে ভয় উকি দিচ্ছিল সবার মনে সেটি প্রথম আধাঘণ্টায় যেন কাট করে বাউন্ডারি ছাড়া করেছেন মুমিনুল হক-মাহমুদুল জয় জুটি।
দিনে খেলা যখন ৮ ওভার পেরিয়েছে তখনই জয় এর শর্টবল দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরান ব্লেসিং মুজরাবানি। এরপর উইকেটে এসেই পালটা আক্রমণ করে রানের গতি বাড়ান অধিনায়ক শান্ত।
শান্ত-সৌরভ জুটিতে লিড নেয় স্বাগতিকরা। তৃতীয় উইকেট জুটি যখন পঞ্চাশ পেরিয়েছে ব্যক্তিগত অর্ধশতকের মাত্র তিন রান আগে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মুমিনুল। ঘাতক আবারো সেই মুজরাবানিই।
প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ, এমনকি সবশেষ ইনিংসে নেই কোনো ফিফটি। সবাই তাকিয়ে ছিল মুশফিকুর রহিমের দিকে। উইকেটে ১৯ বল খেলে ফেলার পর সবাই যখন আশায় বুক বেধেছে ভালো কিছুর তখনই মুজরাবানির বলেই খোঁচা মেরে স্লিপে এরভিনের তালুবন্দি হন মি. ডিপেন্ডেবল।
সঙ্গীদের হারিয়ে কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে খেলেই ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি তুলে নেন শান্ত। তাকে সঙ্গ দিয়ে দিনের বাকি সময় শেষ করেন ঘরের ছেলে জাকের আলী অনিক।