ডিপিএলে তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে আলোচনা যেন ছাপিয়ে গেছে টুর্নামেন্টের সুপার লিগের উত্তাপ। মোহামেডানের অধিনায়কের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে নানামুখী অবস্থানে ক্রিকেট বোর্ড, সিসিডিএম, ক্লাব এমনকি ক্লাবের ক্রিকেটাররাও।
টুর্নামেন্টে আম্পায়ারের সাথে অসদাচরণ এবং ম্যাচের পর আম্পায়ার নিয়ে কটূক্তি করায় প্রথম ধাপে ৪ ও দ্বিতীয় ধাপে ৩ ডিমেরিট যুক্ত হয় হৃদয়ের নামের পাশে। কোড অব কনডাক্টের নিয়মানুযায়ী ২ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হোন তিনি।
তবে এরপরই হৃদয়ের আপিলের ভিত্তিতে এক ম্যাচের সাজা কমায় বিসিবি। তবে সাজা কমাতে বদলানো হয় বিসিবির কোড অব কনডাক্ট। আগে যেখানে কোনো ক্রিকেটার ৪-৭ ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে সেই ক্রিকেটারকে ২ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হতো, সেখানে নতুন নিয়মে তা করা হয় ১ ম্যাচ।
টুর্নামেন্ট চলাকালে বিসিবি'র এমন নিয়ম বদলানোর বিষয়টি সন্দেহের চোখে দেখছেন অনেকেই। তবে কি নামটা মোহামেডান বলেই বদলে ফেলা হলো ক্রিকেটের আইন? ক্লাবটির ক্রিকেট কর্তা তরিকুল ইসলাম টিটু অবশ্য বলছেন ভিন্ন কথা। আইন পরিবর্তন নয়, বিশেষ বিবেচনায় স্থগিত করা হয়েছে হৃদয়ের সাজা। যা কার্যকর হতে পারে পরের মৌসুমেও।
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেট কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘না না বাই ল’স পরিবর্তন হয় নি। এটা পরিবর্তনের জন্য মিটিংয়ের প্রয়োজন হয়। মিটিংয়ের পর সম্মিলিতভাবে এটা পাস করতে হয়। সে যেহেতু ক্ষমা চেয়ে বিসিবি বা আম্পায়ার্স কমিটিতে চিঠি দিয়েছে এবং এ ক্ষমাটা তাকে করা হয়েছে।’
এদিকে বিসিবি'র পাঠানো বিবৃতিতে হৃদয়ের দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা স্পষ্ট উল্লেখ করা হলেও ক্লাবটির ক্রিকেটার রনি তালুকদার বলছেন, হৃদয়ের এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার কথাই জানেন ক্রিকেটাররা।
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ব্যাটার রনি তালুকদার বলেন, ‘দুই ম্যাচে নিষেধাজ্ঞার কথা কিন্তু আমরা জানিনা। আমরা জানি এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছে। ওর আরেকটা শাস্তি হতে পারে সেটা শুনেছি। কিন্তু দুই ম্যাচ যে নিষিদ্ধ সেটা আমরা জানি না।’
মোহামেডানকে সুবিধা দিতে বিসিবি'র আইন পরিবর্তন নাকি জাতীয় দলের ক্রিকেটারকে বিশেষ সুবিধা দিতে সাজা স্থগিত? উত্তর যাই হোক, দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতির জন্য এমন দৃষ্টান্ত কতটা সুফল বয়ে আনবে-প্রশ্নটা মোটা দাগে থেকে যায়।