এমন হারের ব্যাখ্যা কী হয়? ক্রিকেট বিশ্বে অনিয়মিত এক দলের কাছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দুই যুগেরও বেশি সময় পার করে দেয়া দলের হার। তাও আবার স্কোরবোর্ডে ২০৫ রানের বড় সংগ্রহ থাকার পরও!
এমন হারের পর স্রেফ দায় স্বীকার করে নেয়াই ভালো। তবু দলটার নাম যেহেতু বাংলাদেশ, অধিনায়ক অজুহাত খুঁজবেন সেটি স্বাভাবিক বিষয়ই বটে। একের পর এক ক্যাচ মিস, রান আউট মিসের পরও অধিনায়ক দায় চাপালেন শিশিরের ওপর।
লিটন দাস বলেন, ‘যেকোনো হারই কষ্টের। তবে আমরা এই উইকেটে ভালো ব্যাটিং করেছি। উইকেট খুব ভালো ছিল। ওরা যখন ব্যাট করেছে তখন শিশির ওদের পক্ষে ছিল। আমরা ফিল্ডিংয়ে কিছু ভুল করেছি আর বোলিংয়ে মাঝের ওভারগুলোতে খেই হারিয়ে ফেলেছি।’
আইসিসির সহযোগী দেশটির বিপক্ষে কি বাংলাদেশ অতি আত্মবিশ্বাসে ভুগছিল? নাকি ওদেরকে অবহেলা করছিল? এসব প্রশ্ন উঠাও অবান্তর নয়। নতুবা এমন অপরিকল্পিত ক্রিকেট খেলার মানে কি?
লিটন দাস বলেন, ‘আপনি যখন এ ধরনের ছোট আর শিশির ভেজা উইকেটগুলোতে খেলবেন তখন আপনাকে অবশ্যই অনেক হিসেবি হতে হবে। একইসঙ্গে পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে হবে ‘
বোলারদের বেধড়ক মার খাওয়ার দিনে সবচেয়ে বড় ঝড়টা গেছে অভিষিক্ত নাহিদ রানার ওপর দিয়ে। এর আগে টেস্ট আর ওয়ানডে স্বপ্নিল সূচনা পেলেও, টি-টোয়েন্টিতে রীতিমতো দুঃস্বপ্ন হয়ে এলেন আমিরাতের ব্যাটাররা। বল হাতে ফিফটি গড়া পেস সেনসেশনকে নিয়ে আশা ছাড়ছেন না অধিনায়ক।
লিটন দাস বলেন, ‘নাহিদ রানা এর আগে যেভাবে খেলেছে তাতে ওকে নিয়ে আমরা এরচেয়ে বেশি প্রত্যাশা করি। তারপরও ক্রিকেটে ভালো দিন-খারাপ দিন থাকে। আমরা ওর সঙ্গে বসবো, কথা বলবো এবং কামব্যাক করবো।’
আরব আমিরাতের বিপক্ষে আরও একটি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। সিরিজ বাঁচানোর পাশাপাশি লিটন দাসদের মান বাঁচাতেই হয়তো শেষ মুহূর্তে যুক্ত হয়েছে ম্যাচটি।