ম্যাচ হারার চেয়ে ড্রকে ‘মন্দের ভালো’ হিসেবেই দেখছেন সাবেকরা

হাবিবুল বাশার ও মিনহাজুল আবেদীন নান্নু
ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

গল টেস্টে ড্র করেও খুশি সাবেক নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার। আগ্রাসী ব্যাটিং করলে হারতেও পারত বাংলাদেশ, এমনটাই মনে করেন তারা। পাশাপাশি দুই সাবেক নির্বাচক জানিয়েছেন, জাতীয় দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে না জনপ্রিয়তা। আর ঘরোয়া ক্রিকেটের মান উন্নয়নের লক্ষ্যে নতুন পরিকল্পনার খোঁজে বিসিবি।

গল টেস্ট গত হয়েছে, তবে ম্যাচ না জেতার আক্ষেপটা বর্তমান। ফ্ল্যাট উইকেটেও শান্ত-মুশফিকদের কচ্ছপ গতির ব্যাটিং নিয়ে বিস্তর সমালোচনা। তবুও সাবেক ক্রিকেটারদের পাশেই পাচ্ছেন শান্তরা।

সাবেক বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ও নির্বাচক হাবিবুল বাশার বলেন, ‘শেষ দিনে কত রানে ছাড়া যায় সেটা নিলে ঝুঁকি হতে পারতো।’

সাবেক বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ও প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ‘এই ম্যাচটা সেইভ করা আরেকটা দায়িত্ব ছিল। সেইভাবে চিন্তা করে প্রথম ঘণ্টা ব্যাট করেছিল। আমি সব কিছু মিলিয়ে এই ম্যাচ ড্র হয়েছে গল টেস্টে এইটাই প্রাপ্য ছিল। এখানে এ ধরনের চিন্তা আসা উচিত না আগে ছাড়লে কী হতো? আগে ছাড়লে খারাপ রেজাল্ট হতে পারতো।’

শান্ত-মুশফিকরা বড় রান পেলেও ব্যর্থ বিজয়। দৃষ্টিকটু ব্যাটিংয়ে হয়েছেন সমালোচিত। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পার্থক্যটা যেন ক্রিস্টাল ক্লিয়ার। ক্রিকেট পাড়ায় দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে গুঞ্জন সোশ্যাল মিডিয়ার চাপ উপেক্ষা করতে পারেন না নির্বাচকরা। কিন্তু সাবেক নির্বাচকদের মত ভিন্ন।

হাবিবুল বাশার বলেন, ‘জনপ্রিয়তা দিয়ে কেউ আসলে দলে আসতে পারে না। তাকে যেহেতু নেয়া হয়েছে আরেকবার চান্স দেয়া যেতে পারে।’

নান্নু বলেন, ‘ঘরোয়া লিগে অনেক খেলোয়াড়ের ভালো রেকর্ড থাকে। কিন্তু জাতীয় দলে ভালো খেলে না। এইটা নির্বাচকদের দায়িত্ব কোন খেলোয়াড়দের কোথায় খেলাবে।’

ঘরোয়া ক্রিকেটের মান ভালো নয়, এমন সমালোচনা বহুদিনের। নীতি নির্ধারকদের বারংবার দেয়া আশ্বাস থেকে গেছে প্রতিশ্রুতিতেই। তবে নতুন সভাপতির অধীনে সেক্টরটিতে পরিবর্তনের পরিকল্পনা চলছে। শীঘ্রই আসবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই পারফরম্যান্স উত্থান-পতনে ধারাবাহিক বাংলাদেশ। নতুন সভাপতির অধীনে সেই প্রথা থেকে বের হবে বাংলাদেশ প্রত্যাশা এমনটাই।

এসএইচ