অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে এশিয়া কাপ

এশিয়া কাপ
ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

নানা দোলাচলের পর অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে এশিয়া কাপ। আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে পারে আসরটি। তবে পাকিস্তানের আপত্তির মুখে ভারতের পরিবর্তে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে কিংবা হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা করছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল।

দীর্ঘদিনের অপেক্ষা। দ্বিধা আর দোলাচলের পর নতুন করে আশার আলো দেখছে এশিয়ার ক্রিকেট ভক্তরা। ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নিরাপত্তা শঙ্কায় বারবার অনিশ্চয়তায় পড়া এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে এবার আশাবাদী এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল।

ক্রিকবাজের এক প্রতিবেদন বলছে, এবারের আসর মাঠে গড়াতে পারে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর থেকে। ফরম্যাট টি-টোয়েন্টি। অংশ নিচ্ছে ৬টি দেশ ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান আর সংযুক্ত আরব আমিরাত।

স্বাগতিক হিসেবে ভারতের নাম থাকলেও, বাস্তবতার প্রেক্ষিতে টুর্নামেন্ট হতে পারে নিরপেক্ষ ভেন্যু সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেই সঙ্গে থাকছে হাইব্রিড মডেলের চিন্তাও যেখানে পাকিস্তানের ম্যাচগুলো অন্য কোনো দেশেও আয়োজন হতে পারে।

তবে আয়োজনের পথটা একেবারেই মসৃণ নয়। এপ্রিলে পেহেলগাম হামলা এবং পরবর্তী সময়ে অপারেশন সিন্দূর চাঙ্গা করে তোলে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা। ওঠে ম্যাচ বয়কটের দাবি, তৈরি হয় নতুন করে অনিশ্চয়তা। এমনকি শোনা যাচ্ছে, আসন্ন আইসিসি সভায় বিশ্বমঞ্চে ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তান বয়কটের দাবিও উঠতে পারে আলোচনায়।

তবুও, আলোটা দেখা যাচ্ছে অন্য প্রান্ত থেকে। এ থেকেই স্পষ্ট, অন্তত বৈশ্বিক আসরে বন্ধ হচ্ছে না দুই প্রতিবেশী দেশের লড়াই। আর এ কারণেই হয়তো নতুন করে আশাবাদী এসিসি। কারণ, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই বিশাল দর্শকসংখ্যা, বিপুল রাজস্ব। যে অর্থ বিশ্ব ক্রিকেটের বড় অংশজুড়ে রক্তসঞ্চালনের কাজ করে।

জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহেই বসছে এসিসির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। সেখানেই চূড়ান্ত হতে পারে সময়সূচি, ভেন্যু ও ফরম্যাট। আর তার পরই বোঝা যাবে রাজনৈতিক উত্তেজনার মাঝেও ক্রিকেট কীভাবে খুঁজে নেয় টিকে থাকার পথ। এখন প্রশ্ন একটাই এই আশাবাদ কতটা রূপ নেয় বাস্তবে? সময় এগোচ্ছে, উত্তরের অপেক্ষায় গোটা এশিয়ার ক্রিকেট।

সেজু