ধারাবাহিকভাবে অধরাবাহিক বাংলাদেশ ক্রিকেট। তাই ঘুরেফিরে টিম কম্বিনেশন সংক্রান্ত নানা বিষয় উঠে আসে আলোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে। আর সেই আলোচনায় জাতীয় দলে সাকিবের ডাক পড়বে কিনা সেই বিষয়টা অবধারিত।
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘আমাদের সাথে অফিশিয়ালি এখনো আমাদের যোগাযোগ হয়নি। বাংলাদেশ দল থেকে এখনো সব ফরম্যাটে অবসর নেয়নি। তার সাথে কথা বলবো। এরপর সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। এইটা নির্ভর করছে বাংলাদেশ টিমের যারা দল নির্বাচন করে তাদের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’
আর ব্যাটারদের পারফরম্যান্সের উথান-পতনে নতুন ইস্যু কোচ সালাউদ্দিন। তবে সমর্থনের ব্যাটটা বোর্ড প্রেসিডেন্ট ধরেছেন সিনিয়র কোচের পক্ষেই।
আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘কোচ সালাউদ্দিন ভালো করছে। সিরিজের মাঝখানে মন্তব্য করবো না। সিরিজে শেষে কথা হবে।’
টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পাওয়ার থেকেই সমালোচনায় মেহেদি মিরাজ। শ্রীলঙ্কায় প্রথম দুইটি-টোয়েন্টিতে ব্যাট ও বল হাতে সাদামাটা পারফরম্যান্সে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচকরা। সাবেক ক্রিকেটাররাও জানিয়েছেন মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
বিসিবি উইমেন উইং হেড হাবিবুল বাশার বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে ওভারের সময় নিলে সেক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়তে হয়। এইটা শুধু মিরাজের ক্ষেত্রে না।’
দক্ষতায় লিটন দারুণ। কিন্তু ধারাবাহিকতার প্রসঙ্গ আসলেই হতাশার গল্প। ১৩ ইনিংস পর হাফসেঞ্চুরি হাঁকালেও পরিসংখ্যানের টেবিলে মিলছে না অঙ্ক। ব্যর্থতার কারণ হিসেবে মানসিক ঘাটতিকেই দায়ী করছেন সাবেক অধিনায়ক ও ক্রিকেটার খালেদ মাসুদ পাইলট।
খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘লিটন স্কিল সম্পূর্ণ খেলোয়াড়। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মাথার। একটা প্লেয়ার বড় দলের সাথে ৭০ রান করতে পারলেও সে কেন ধারাবাহিক হতে পারে না। কারণ মাথা খাটায় না।’
উন্নতির জায়গা অনেক। সেজন্য চলছে চেষ্টাও। এই গল্পগুলো পুরোনো। এবার সেগুলো কার্যকর করার পালা।