ইউরোপিয়ান ফুটবলে চলছে গ্রীষ্মকালীন দলবদলের ব্যস্ততা

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

ইউরোপিয়ান ফুটবলে চলছে গ্রীষ্মকালীন দলবদলের ব্যস্ততা। আসন্ন ২০২৫-২৬ মৌসুমকে সামনে রেখে নতুন করে নিজেদের স্কোয়াড সাজানোতে ব্যস্ত দলগুলো। তবে অন্যান্য লিগের দলগুলোর তুলনায় টাকার অঙ্কে আর খেলোয়াড়দের স্কাউটিংয়ে সবচেয়ে বেশি সরব ইংলিশ লিগের ক্লাবগুলো। বিগত দুই মাসেই প্রিমিয়ার লিগের ২০ দলের খরচ প্রায় ২ বিলিয়ন ইউরো।

সবশেষ মৌসুমে কেবল ১২ মিলিয়ন ইউরো খরচ করেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয় করেছিল মার্সেসাইডের ক্লাব লিভারপুল। কম খরচের দল থেকে এমন সাফল্যের পর এবার দলবদলের সময়ে রীতিমতো উড়ছে ক্লাবটি। একের পর এক সাইনিং করে এরইমাঝে অলরেডরা খরচ করেছে প্রায় ২৬৯ মিলিয়ন পাউন্ড। বাংলাদেশের টাকার অঙ্কে যা ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

লিভারপুলের এই আর্থিক হিসেবটা মোটাদাগে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের প্রাথমিক এক চিত্র। দলবদলের মৌসুম হাজির হতেই ইংল্যান্ডের শীর্ষস্তরের ফুটবল ক্লাবগুলোতে বেড়েছে ব্যস্ততা। পছন্দের খেলোয়াড় দলে নিতে মরিয়া ক্লাবগুলো। সেজন্য নিজেদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি অর্থ খরচেও যেন আপত্তি নেই। যার সবশেষ উদাহরণ ভিক্টর ইয়োকেরেশ এবং আর্সেনাল। পর্তুগালের ক্লাব স্পোর্টিং সিপি থেকে সুইডিশ এই স্ট্রাইকারকে দলে নিতে আর্সেনাল খরচ করেছে ৬৩ মিলিয়ন পাউন্ড। এর আগে ননি মাদুয়েকে, মার্টিন জুবিমেন্দি আর কেপা আরিজাবালাগাকে দলে টেনেছিল গানাররা।

লিভারপুল অবশ্য দলবদলে আর্সেনালকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে আগেই। দলবদলের সময়ে লিভারপুলে যোগ দিয়েছেন হুগো একিটিকে, ফ্লোরিয়ান উইর্টজ, মিলোস কেরকেজ, জেরেমি ফ্রিম্পংরা।

সবমিলিয়ে খরচ ২৬৯ মিলিয়ন পাউন্ড। তবে, এই মুহূর্তে লিভারপুলের চোখ আলেকসান্দার ইসাকের দিকে। নিউক্যাসেল থেকে এই সুইডিশ স্ট্রাইকারকে পেতেও ১২০ মিলিয়ন ইউরোর বেশি খরচ করতে হবে ইংলিশ লিগ চ্যাম্পিয়নদের।

দলবদলের এই সময়ে অন্যান্য ইংলিশ ক্লাবগুলোতেও চলছে ব্যস্ততা। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং চেলসি পুরো স্কোয়াডকেই ঢেলে সাজাতে চাইছে। মৌসুম শুরুর আগেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আরও বেশকিছু দলবদল তাই প্রত্যাশা করতেই পারেন ফুটবল ভক্তরা।

সেজু