আজ (রোববার, ২৭ জুলাই) দুপুরে নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এতে ব্যানার-ফেস্টুনে লিখে ডেভেলপার মোস্তাফিজুর রহমানের প্রতারণার নানা তথ্য তুলে ধরেন বিএনপির নেতারা।
এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা বলেন, ‘গ্রিনপ্লাজা প্রপার্টিজের মালিক মোস্তাফিজুর রহমান একজন প্রতারক ও জালিয়াতি চক্রের হোতা, সে বিএনপির নেতাকর্মীর নামে ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।’
এসময় প্রশাসনের সঙ্গে আঁতাত করে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়েছে বলেও দাবি করেছেন বিএনপির নেতারা। এছাড়া ডেভেলপার মোস্তাফিজ থানায় বসে ষড়যন্ত্র করছে বলেও দাবি করেছেন তারা।
বিএনপির নেতারা দাবি করেন, ফ্ল্যাট বিক্রির নামে বহু গ্রাহকের অর্থ নিয়ে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেননি তিনি। বিগত আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতায় গ্রাহকের হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, বর্তমানেও প্রতারণামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবদল নেতা আবুল কালাম আজাদ সুইট বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর ও প্রতারকদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে তাদের প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করছেন এবং রাজশাহী মহানগর বিএনপির নেতাদের নামে ভিত্তিহীন মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা নিচ্ছেন। যারা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত বা জড়িত থাকবেন তাদের বিচার আমরা এই বাংলার মাটিতে করব।’
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সেকেন্ড অফিসারের কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।