টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নুরুল হাসান সোহানের ফেরা অবধারিতই ছিল। তবে এশিয়া কাপের দলে সাইফ হাসানের ডাক পাওয়া চমক। তবে দলে সুযোগ পেলেও সেরা একাদশে অনিশ্চিত দুজনই। সফর শেষ হতে পারে সেরা বিকল্প হিসেবেই। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ফারাকটা আবার দৃষ্টিকটুভাবেই ফুটে উঠেছে নাঈম শেখের ব্যাটে। ফলাফল ১৬ সদস্যের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি তার। প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ছিটকে গেছেন মেহেদি মিরাজ-নাহিদ রানা।
গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেন, ‘আমাদের কাছে মনে হয়েছে, নাঈম শেখ আসলেও হার্ডওয়ার্ক করেছে। দুর্ভাগ্যবশত সেটা হয়নি। মিরাজের ক্ষেত্রে আমরা বলবো যে আমাদের টিম কম্বিনেশনে একাদশে শেখ মাহেদি আছে। নতুন বলে এক বা দুই এর জায়গায় আমার কোনো খেলোয়াড় লাগে সে আলোকে সাঈফ হাসানকে আমরা নিয়েছি।’
অবশ্য এশিয়া কাপ থেকে বাদ পড়লেও জাতীয় দলের দরজা উন্মুক্ত মিরাজ-শান্তর-সৌম্যদের জন্য। শর্ত হিসেবে পারফরম্যান্সের পাশাপাশি আত্ম উপলব্ধির দিকে জোর দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক। কিন্তু সেরা দল বাছাই করেও এশিয়া কাপের প্রত্যাশা নিয়ে বাস্তবতার কথা স্মরণ করালেন গাজী আশরাফ লিপু।
তিনি বলেন, ‘করও জন্যই আমাদের দরজা বন্ধ নেই। নিজের থেকে একটা উপলব্ধি আসা উচিত, আমি কেন জায়গাটা হারাচ্ছি বং কী করলে আমার জায়গাটা পুনরুদ্ধার করতে পারবো। আমি আশা করি যে, দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যেই যাবে। কিন্তু অ্যানালেটিক্যাল এবং লজিক্যাল চিন্তা করলে ভাবতে হবে যে কোথায় দাঁড়িয়ে আছি।’
সবশেষ সিরিজে ছিলেন না, তিন ফরম্যাটে তিন ক্যাপ্টেন ইস্যুতে সরে দাঁড়িয়েছেন শান্ত। এদিকে মেহেদি মিরাজ ওয়ানডে ক্যাপ্টেন হয়েও অনিয়মিত টি-টোয়েন্টি দলে। অন্তত সাদা বলে দুই ফরম্যাটে দুই ক্যাপ্টেন ইস্যুতে যেন অসন্তুষ্টিই প্রকাশ পেলো প্রধান নির্বাচকের কথায়।
গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেন, ‘আগামীতে যেন দলের জন্য ভালো হয়, দলনায়কদের জন্য ভালো হয়- সেরকম চিন্তাভাবনা করেই তারা নিজের জায়গা থেকে নেতৃত্ব দেবেন।’
সন্তুষ্টি বা অসন্তুষ্টি যেটাই থাকুক না আপাতত প্রধান নির্বাচকের চোখ নেদারল্যান্ড সিরিজেই। আবু ধাবিতে যাবার আগে সিলেটে সর্বোচ্চ প্রস্তুতিই নিতে চায় বাংলাদেশ। আর সে জন্য কোচ-অধিনায়কের উপরই ভরসা রাখছেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।