আমিনুল ইসলাম বুলবুল। নামটা দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের গর্বিত অংশ। কারণটা সবার জানা। এরপর দেশের ক্রিকেটে বুলবুলের লম্বা বিরতি। আইসিসির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে দীর্ঘদিন ভূমিকা রেখেছেন। সফল হয়েছেন। অর্জন করেছেন আইসিসি কর্তাদের আস্থা। বিশ্ব ক্রিকেটে গুরুদায়িত্ব পালন, সম্মান-মর্যাদা সবকিছুই ছিল হাতের নাগালে। তবু কি যেনো নেই; কি যেনো নেইয়ের শূন্যতা-হাহাকার।
বৈশ্বিক মঞ্চে সফল হলেও দেশের ক্রিকেটের অবদান রাখতে না পারার বেদনায় প্রতিনিয়ত পুড়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। একাধিক সাক্ষাৎকারে বিসিবির হয়ে কাজ করার আগ্রহ-আকুতি প্রকাশ করলেও অজানা কারণে লম্বা সময় ডাক পড়েনি তার।
অবশেষে বিসিবির নেতৃত্বস্থানীয় পর্যায়ে পালাবদল আর ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে কয়েকমাস আগে অনেকটা আকস্মিক ভাবেই বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয় আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে। কিন্তু দায়িত্ব নেয়ার পর নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বুলবুল বলেছিলেন তিনি এসেছেন টি-টোয়েন্টি খেলার জন্য।
আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘যেহেতু সময় কম। আমরা জানি যে টেস্ট ম্যাচ পাঁচ দিনের হয়। ওয়ানডে হয় ৭ ঘণ্টার। আমি একটা কুইক টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলতে এসেছি এখানে। চেষ্টা করবো যে ক্রিকেট সবার খেলা হয়। সবাই যেন খেলতে পারে। এইরকম একটা কাজ আমরা শুরু করে দিয়ে যেতে চাই।’
তবে সময়ের পরিক্রমায় পরিস্থিতি পাল্টেছে। সময় গড়ানোর সাথে সাথে বুলবুল বিসিবির যাবতীয় সমস্যার গভীরে ঢুকেছেন। চাক্ষুস করেছেন নানান প্রতিবন্ধকতা।
বিসিবিতে পালাবদলের হাওয়া বইছে। আসন্ন নির্বাচন নিয়েও সরগরম বিসিবি। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে বরাবরই অনাগ্রহ দেখিয়েছেন বুলবুল। তবে যেই দেশের ক্রিকেট তাকে তারকা খ্যাতি দিয়েছে। যার জন্য তিনি আইসিসির দায়িত্ব ছেড়ে দেশে ফিরেছেন। শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে আর দূরে সরে থাকতে পারলেন না। ঘোষণা দিলেন বিসিবি নির্বাচনে অংশ নেয়ার।
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, ‘অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে আমরা ইলেকশন করবো। এখানে সভাপতি ইলেকশন হয় না। এখানে পরিচালকদের ইলেকশন হয়। সেটা প্রথম লক্ষ্য এবং সেখানে থাকার চেষ্টা করবো। পরবর্তী যদি সুযোগ হয় যেভাবেই হোক বাংলাদেশকে সার্ভিস দেবো।’
বিসিবি নির্বাচন নিয়ে হইচই বেড়েছে ক্রিকেট পাড়ায়। তবে কদিন আগেও বিসিবি নির্বাচন ছিল বলতে গেলে তারকা শূন্য। তবে কিছুদিন আগে তামিম ইকবালের ঘোষণার পর আমিনুল ইসলাম বুলবুলও নির্বাচন করার ঘোষণা দেয়ায় এবার বোর্ডের পরিচালনা কমিটি নির্বাচন বাক নিলো নতুন মোড়ে।
ক্রিকেটপ্রেমীরা এখন দেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ানের সাথে দেশসেরা ওপেনারের মধুর লড়াই দেখার অপেক্ষায়। নাকি সবাই মিলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসঙ্গে দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেবেন সেই প্রশ্নটা তোলা রইল ভবিষ্যতের জন্য।