ক্রিকেটারদের নেতৃত্বে পালাবদলের হাওয়া; কোয়াবে প্রথমবার সভাপতি নির্বাচন

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড
ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

সারাদেশের মতো ক্রিকেটেও বইছে নির্বাচনী হাওয়া। যার শুরুটা হবে কোয়াব নির্বাচনের মাধ্যমে। প্রথমবারের মতো ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবে হতে যাচ্ছে সভাপতি পদের নির্বাচন। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর) ভোটাররা বেছে নেবেন ক্রিকেটারদের সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব। কোয়াব নিয়ে সাবেক-বর্তমানদের প্রত্যাশাও অনেক। মহাপরিকল্পনার কথা জানালেন সভাপতি পদপ্রার্থীও।

সংগঠনের পূর্ণ নাম ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ, সংক্ষেপে কোয়াব। নামে ক্রিকেটারদের সংগঠন হলেও এখন পর্যন্ত ক্রিকেটার ও কোয়াবের সম্পর্কটা সুখকর না। আছে বিক্ষোভের নজির। এমনকি গঠনতন্ত্র নিয়েও ধারণা নেই অনেক ক্রিকেটারের। গুলিস্তানের জাতীয় স্টেডিয়ামে যাদের হাত ধরে কোয়াবের শুরু, তাদের কাছেও এখন কোয়াবের কার্যক্রম অজানা।

বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় কোয়াব নির্বাচন নিয়ে ক্রিকেটারদের মধ্যে আগ্রহ প্রবল। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম নির্বাচিত কোনো সভাপতি পাবেন দায়িত্ব। সবশেষ ১৪ বছরে প্রথমবার সভাপতি পদে আসবেন নতুন এক মুখ। নতুন নেতৃত্বের কাছে ক্রিকেটারদের চাওয়া, সংগঠনটি হবে আরও বেশি ক্রিকেটারবান্ধব।

বাংলাদেশ ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত বলেন, ‘যেসকল জায়গায় সমস্যা আছে সেগুলো জায়গায় কাজ করবে। যেখানে কাজ করলে ক্রিকেটাররা উপকার পাবে সেখানে কাজ করতে হবে। আমরা বিশ্বাস কবি কোয়াব তার দায়িত্বগুলো সঠিকভাবে পালন করতে পারবে।’

আরও পড়ুন:

শুরু থেকেই কোয়াবের অংশ ছিলেন সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। সামনের দিনগুলোতে কোয়াবকে সত্যিকারার্থেই ক্রিকেটারদের কল্যাণে নিবেদিত সংগঠন হিসেবে দেখতে চান তিনি।

সাবেক অধিনায়ক বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘আমরা শুরুতে পল্টনে গুলিস্তানে যে স্টেডিয়াম ছিলো আমরা সেখানে কোয়াব নিয়ে কাজ করেছিলাম। পরে যারা পরিচালনা করেছিলেন তখন বুঝতেই পারিনি এর গঠনতন্ত্র কী? ক্রিকেটারদের অনেক সমস্যা থাকে এগুলো সমাধানের মাধ্যমে জাতির জন্য সমাজের জন্য অনেককিছু করা সম্ভব।’

কোয়াবের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির প্রধান সেলিম শাহেদ। আসন্ন নির্বাচনেও লড়বেন সাবেক এ ক্রিকেটার। কোয়াবের পূর্বের ব্যর্থতা নিয়ে মন্তব্য না করলেও সামনের দিনের জন্য বড় পরিকল্পনাই শোনালেন সেলিম শাহেদ।

কোয়াব নির্বাচন সভাপতি পদপ্রার্থী সেলিম শাহেদ বলেন, ‘যত কারেন্ট প্লেয়ার আছে তাদের জন্য অ্যাগ্রিমেন্ট থাকে সেই ভিত্তিতে যেন তারা কন্ট্রাক করে। ক্রিকেটারদের ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টে কাজ করতে হবে। যারা রিটায়ার্ড করেছেন তাদের জন্য পেনসন ফান্ড ক্রিয়েট করতে হবে।’

২০১৪ সালের পর এবারই কোয়াবে দেখা যাবে আনুষ্ঠানিক নেতৃত্ব। নতুন দিনের নতুন নেতৃত্বের কাছে ক্রিকেটারদের প্রত্যাশা সীমিত হলেও অতীত বলছে কাজটা বেশ চ্যালেঞ্জিং। সামনের দিনগুলোতে তবু কোয়াবকে আরও বেশি কার্যকর ভূমিকায় দেখার প্রত্যাশা ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের।

এফএস