স্পেনে হওয়া প্রথম লেগে ছিলো গোলের উৎসব। ৩-৩ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচে ৩০ সেকেন্ডে মার্কুস থুরামের দুর্দান্ত ফ্লিক ইন্টারকে এগিয়ে দেয়, যা ছিলো চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে দ্রুততম গোল। এরপর ডেনজেল ডামফ্রিসের জোড়া গোল ও লামিন ইয়ামালের দুর্দান্ত শটে সমতায় ফেরে বার্সেলোনা। রোমাঞ্চে ভরপুর ছিল প্রথম লেগ।
নিজেদের মাঠ সান সিরোতে কিছুটা এগিয়ে থাকবে ইন্টার মিলান । সেমিফাইনালে আসার পথে তারা ফেইনুর্ড ও বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়েছে। এই আসরে এখন পর্যন্ত ইন্টার মাত্র পাঁচ গোল হজম করেছে এবং আট ম্যাচে ক্লিন শিট তাদের। তবে প্রথম লেগে বার্সার আক্রমণ সামলাতে বেশ খানিকটা বেগ পেয়েছে ইতালিয়ান জায়ান্টরা।
প্রথম লেগে পাওয়া হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে শঙ্কায় আছেন দলের শীর্ষ গোলদাতা লাওতারো মার্টিনেজ। তার অনুপস্থিতিতে জায়গা পেতে পারেন মেহদি তারেমি কিংবা মার্কো আর্নাউটোভিচ। বেঞ্জামিন পাভার্ডও চোটে অনিশ্চিত। তবে হাকান চালহানওগ্লু ফিরেছেন এবং ফিরবেন ডামফ্রিস, থুরাম, সমার, মিখিতারিয়ানরা।
২০১০ সালে শেষবার যখন ইন্টার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিল, তখন সেমিফাইনালেও বার্সেলোনাকে হারিয়েছিল তারা। এবারো সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়েই নামবে ইনজাঘির দল। তবে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স অনেকটা সাদামাটা তারা। শনিবার ভেরোনার বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে জয় পেলেও আগের পাঁচ ম্যাচে জয় ছিল না। এছাড়া কোপা ইতালিয়ার সেমিফাইনালে এসি মিলানের কাছে হেরে ট্রেবল জয়ের স্বপ্নও শেষ তাদের।
অন্যদিকে হান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনা আছে দুর্দান্ত ফর্মে। ইতোমধ্যে স্প্যানিশ সুপার কাপ ও কোপা দেলরে জিতেছে তারা এবং লা লিগাতেও আছে দারুণ ছন্দে। গত ৩০ ম্যাচে ২৪টিতে জয় তাদের, হার মাত্র দুটি। চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সা এবার ৪০ গোল করেছে। তবে সান সিরোতে ইতিহাস বার্সার অনুকূলে নয়।
ইন্টার মিলানের মাঠে এখন পর্যন্ত ছয় ম্যাচে মাত্র একবার জিতেছে তারা। গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টার স্টেগেন চোট কাটিয়ে ফিরেছেন। তবে ফুলব্যাক কুন্দে ও আলেহান্দ্রো বালদে এখনো ইনজুরিতে। শুরুর একাদশে না থাকলেও তারকা স্ট্রাইকার লেভানডওস্কিও ফিরবেন বেঞ্চে।
