জাতীয় দলে ফিরেছেন ঋতুপর্ণা চাকমা-তহুরা খাতুনরা। বাকি ৯ বিদ্রোহী নারী ফুটবলারদের ভবিষ্যৎ দোদুল্যমান। হেড কোচ পিটার বাটলারের ইঙ্গিত বা ভাষ্য সাবিনাদের জন্য সংশয় জাগানিয়া! ইগো নয়- পারফরম্যান্স, ফিটনেস আর শৃঙ্খলাজনিত কারণেই তারা বাদ পড়েছেন তারা। যদিও ভুটানে খেলার মধ্যেই আছেন এই ৫ ফুটবলার। আগামী মাসে মাঠের ফুটবলেই পরিষ্কার হবে কোচের এমন সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা।
জাতীয় নারী ফুটবল দলের হেড কোচ পিটার বাটলার বলেন, ‘বিদ্রোহী ফুটবলার নয় বরং ফুটবলারদের জাতীয় দলে ডেকেছি। আগামী ৬ মাসের ফুটবল দর্শন যাদের ফিটনেস ভালো এবং ফুটবলার হিসেবে যাদের শৃঙ্খলা আছে তাদেরই দলে রাখা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সাফে সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এএফসিতেও ভালো করাটাই লক্ষ্য।’
কোচের পরিকল্পনা পরিষ্কার। কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে ৩৪ গোল করা সাবিনাকে ফেরাতে বাফুফে কতটা সক্রিয় বা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কি-না সেই বিষয়ে নারী উইং চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ দিতে পারেননি কোনো সদুত্তর।
তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই দেশি কোচ বিদেশি কোচ যেই থাকুক এটা টেকনিক্যাল পার্ট। এ ব্যাপারে আমি কখনোই ইন্টারফেয়ার করিনা। আমি এটা কোচকেই কখনোই জিজ্ঞাসা করিনি এটা শতভাগ তার স্বাধীনতা আছে সে কাকে নির্বাচন করবে কাকে করবে না। সে সেটাই করবে আমরা যেরকম রেজাল্ট চাই, কোচও তেমন চায়।’
অবশ্য বর্তমান ফুটবল স্কোয়াড নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে চান নারী ফুটবল দলের বর্তমান অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার। সাবিনাকে মিস করলেও জর্ডান-ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ভালো করাই একমাত্র লক্ষ্য তার।
আফঈদা খন্দকার বলেন, সাবিনা আপু হচ্ছে বাংলাদেশের লিজেন্ড প্লেয়ার। কোচের সিদ্ধান্ত কোচ টিম কীভাবে সাজাবে। আগের থেকে এই টিমটা মোটামুটি ব্যালেন্সড আছে। আরব আমিরাতের সাথে যে টিমটা খেলেছিলাম। তো ইন শা আল্লাহ ভালো কিছু হবে।’
সোমবার সকালে তিন জাতি সিরিজ খেলতে জর্ডানের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে জাতীয় নারী ফুটবল দল। সেখানে আগামী ৩১ মে ও ৩ জুন ইন্দোনেশিয়া ও জর্ডানের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে আফঈদারা।