দেশে ফিরেই অনুশীলনে হামজা; টিকিটের দাবিতে সমর্থকদের আন্দোলন

হামজাকে দেখতে ভক্তদের উন্মাদনা, টিকিটের জন্য আন্দোলন
ফুটবল
এখন মাঠে
0

৬৭ দিন পর দেশের মাটিতে পা রাখার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দলের সঙ্গে অনুশীলনে নেমে পড়লেন জাতীয় ফুটবল দলের পোস্টারবয় হামজা চৌধুরী। জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথমবার অনুশীলন করলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা এই ফুটবলার। এ দিকে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের টিকিটের দাবিতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনের সামনে আন্দোলন করেছেন সমর্থকরা।

দেশের ফুটবলের ‘হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালাকে’ এক নজর দেখতে দর্শক সমর্থকদের চেষ্টার কমতি নেই। তবে যেখানে কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার উদ্ভাবন ‘ক্লোজ ডোর’ অনুশীলনে গণমাধ্যমকর্মীদেরই ভেতরে ঢোকার অনুমতি নেই, সেখানে দর্শকদের গেট ধরে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া যেন কিছুই করার নেই।

হামজা ম্যাজিকে দেশের ফুটবলের দর্শক উন্মাদনা খোলনলচে পাল্টে গেছে। কেউ বা ম্যাচ টিকিট পেলেও এসেছেন দেশের ফুটবল পোস্টার বয়কে এক নজর দেখতে, আবার কেউ এসেছেন খেলা না দেখতে পেলেও দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে। মাঝে একবার হামজা এসে দেখেও গেলেন তার প্রতি দেশের মানুষের ভালোবাসা।

ভক্তদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমাদের মতো সাধারণ দর্শকরা টিকিট পায় না, বড়ই দুঃখ লাগে। এর আগে প্রায় সব ম্যাচই দেখেছি এই স্টেডিয়ামে।’

আরেকজন বলেন, ‘হামজাকে দেখার জন্য দৌড়ে এসেছি, তবে অল্পের জন্য তাকে দেখতে পারিনি।’

যখন জাতীয় স্টেডিয়ামের বাইরে ভক্তরা অপেক্ষায়, তখন বিপরীত চিত্র বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের বাইরে। টিকিট না পেয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে বসেছে দেশের ফুটবলের সবচেয়ে বড় ভক্তদের গ্রুপ বাংলাদেশ ফুটবল আলট্রাস।

আরো পড়ুন:

তারা বলছেন, টিকিটের বিষয়ে তাদের আবেগ নিয়ে নয়-ছয় করেছে বাংলাদেশ ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা। এমনকি এখানেও সিন্ডিকেটের কালো থাবা দেখতে পাচ্ছেন অনেকে।

ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আল্ট্রাসদের জন্য সবসময়ই ন্যাশনাল টিম হোক বা ক্লাব, আলাদা করে টিকিট থাকে। আমরা সেটাই চেয়েছি। একটা ফুটবল ফেডারেশন যখন এতটুকু প্রোফেশনালিজম না দেখায় তখন সেটা আমাদের জন্য দুঃখজনক। বাফুফে থেকে আমরা এটা আশা করি না।’

আরেকজন বলেন, ‘আমরা সিন্ডিকেট মুক্ত বাংলাদেশের ফুটবল চাই।’

বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা, জাতীয় স্টেডিয়ামের ভিভিআইপি গেটে দর্শক সমর্থকদের ভিড় কমেনি বৈ বেড়েছে। দর্শকদের ভিড় ঠেলে খেলোয়াড়দের বের করতে যেন ঘাম ছুটে গেলো নিরাপত্তাকর্মীদের। যদিও দর্শকদের এই ভালোবাসা নিরাপত্তা হুমকি কি না সেই প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।

এসএইচ