সমর্থকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘ক্রিকেটের যে অবস্থা, আমরা ক্রিকেট দেখিওনা দেখতেও চাইনা।’ কথাটা সমর্থকের ক্রিকেট নিয়ে হতাশারই প্রতিচ্ছবি। অথচ কয়েক মাস আগেও একদমই ভিন্নচিত্র ছিল।
ক্রিকেট দলের লাগাতার খারাপ পারফরম্যান্সে মাঠ যেখানে মাঠ বিমুখ দর্শক সমর্থকরা সেখানেই যেন বাতি হাতে ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের ভূমিকায় ফুটবল।
ফুটবল ম্যাচ দেখতে আসা একজন দর্শক বলেন, ‘ক্রিকেটে তো আমরা দেখছি যে দিনদিন অধঃপতন হচ্ছে। সেসময়ে ফুটবল আমাদের ভালো কিছু দেখাচ্ছে, সেজন্য ফুটবল দেখতে আসা।’
অন্য একজন বলেন, ‘এটা অবশ্যই হামজা, শোমিত সোম এবং অন্যদের কারণে ফুটবল ফিরতে শুরু করেছে। তাদের কারণে বাংলাদেশের এখন ক্রিকেটের চেয়ে ফুটবলটা বেশি জনপ্রিয় হয়ে গেছে।’
একজন দর্শক বলেন, ‘আমরা ক্রিকেটের বড় ফ্যান ছিলাম। ব্ল্যাকে টিকিটি কেটে ক্রিকেট দেখতাম। আর এখন হামজা যে আসছে আমাদের দেশে এর ফলে বড় পরিবর্তন হয়েছে আমাদের ফুটবলে। স্টেডিয়ামে ফুটবল দেখতে টিকিট পাওয়া যাবে না, শেষ পাঁচ থেকে সাত বছর ধরে এটা কল্পনা করার বিষয়ই ছিল না।’
ক্রিকেটের সমর্থকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘খেলোয়াড়দের মধ্যে ম্যাচ হারার পর কোনো অনুশোচনা নেই। তাদের উন্নতির কোনো চেষ্টা নেই, আকাঙ্ক্ষা নেই। সেজন্য আসলে বাংলাদেশের দর্শক ক্রিকেট বিমুখ হয়েছে।’
কয়েকমাস আগেও যেখানে জাতীয় দলের খেলা কবে হচ্ছে তা নিয়ে আগ্রহ না থাকলেও এখন সেখানে গণজোয়ার।
প্রায় দুই যুগ পর খেলাটি নিয়ে সাধারণ মানুষের ভালোবাসার কেন্দ্রে হামজা চৌধুরী, সেখানে এই মুহূর্তে পার্শ্বচরিত্র ফাহমিদুল-শমিত সোমরা।
মূল মঞ্চ সিঙ্গাপুর ম্যাচ, যেখানে টিকিট পাননি অনেক তারকারাও। আর সাধারণ মানুষ অনেকে যেন ভুটান ম্যাচ দিয়ে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাচ্ছেন।
বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত টিকিট কিনতেও পারিনি, কমপ্লিমেন্টারিও পাইনি। আশা করছি এক দুইটা টিকিট পাবো।’