আগামী বছর এশিয়ান কাপের মূল আসর। এর আগে বাছাই পর্বে ঢাকায় মুখোমুখি বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর। দুই দলের জন্যই ম্যাচটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এখন পর্যন্ত ‘সি’ গ্রুপের চার দলেরই পয়েন্ট সমান ১ করে।
তাই এই ম্যাচ জয়-পরাজয় গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলে রাখবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তবে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স আর ঘরের মাঠে খেলতে নামা বাংলাদেশকে এগিয়েই রাখছে বিশ্লেষকরা।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর মুখোমুখি হয়েছে মাত্র দু’বার। এই দু’বারই জয় পেয়েছে সিঙ্গাপুর। মাঠের লড়াইয়ে এখনো বাংলাদেশ জয়হীন।
তবে সাম্প্রতিক ফর্মে থাকা বাংলাদেশ তুলনামূলক ভালো করছে। শেষ পাঁচ ম্যাচে তারা জয় পেয়েছে দু’টিতে, হার সমান ম্যাচে আর অন্যটিতে রয়েছে ড্র।
এ ছাড়া আরেকটি বড় সুবিধা হলো ঘরের মাঠে খেলা। ঢাকার গরম আবহাওয়া এবং গ্যালারি ভর্তি সমর্থকদের উপস্থিতি প্রতিপক্ষের জন্য চাপ তৈরি করতে পারে।
বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার বাইরের দলগুলো এই পরিবেশে মানিয়ে নিতে হিমশিম খায়, যা বাংলাদেশের জন্য কৌশলগত সুবিধা এনে দিতে পারে।
বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা বলা যায়, একজন ধারাবাহিক গোলদাতার অভাব। দলে একজন প্রকৃত ‘নাম্বার ৯’ স্ট্রাইকারের অভাব দীর্ঘদিন ধরেই স্পষ্ট, যা ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণে প্রভাব ফেলছে।
বাংলাদেশের ফিফা র্যাংকিংয়ে অবস্থান ১৮৩, এ দিক থেকে সিঙ্গাপুরের ফিফা র্যাংকিং ১৬১ হলেও, দলটি গেল ছয় ম্যাচে চারটিতেই হেরেছে।
কিছুদিন আগে মালদ্বীপের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয়ে কিছুটা নির্ভার থাকবে সিঙ্গাপুরের কোচ সুতোমু ওগুরা।
এই দলের মূল শক্তির জায়গা আক্রমণভাগের তারকা ইখসান ফান্দি। ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৩৯ ম্যাচে ২০ গোলের মালিক এই ২৬ বছর বয়সী ফুটবলার। চোট কাটিয়ে ফিরেই মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচে করেছেন ২ গোল।
ইখসান ফান্দি ছাড়াও সিঙ্গাপুরের দুইজন ম্যাচ উইনার আছেন— ১৪০ ম্যাচ খেলা অধিনায়ক হারিস হারুন ও ১২২ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে সাফুয়ান বাহারুদিন।
এ ছাড়া সিঙ্গাপুরের খেলোয়াড়দের উচ্চতা বাংলাদেশের রক্ষণভাগের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে।