স্বপ্ন যেন সত্যি হলো! এশিয়ান কাপ ফুটবলের টিকিট এখন বাংলাদেশের হাতছোঁয়া দূরত্বে। যদিও অঙ্কের হিসেবে যদি-কিন্তু আছে। তবে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলে প্রথমবারের মতো স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে আফঈদারা।
র্যাংকিংয়ে ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মিয়ানমারকে শুরু থেকেই আগ্রাসী ফুটবলে তটস্থ করে রাখে বাংলাদেশ। অবশ্য মুহুর্মুহু আক্রমণ করেও গোলো দেখা পাচ্ছিলো না শামসুন্নাহাররা। তবে ম্যাচের ১৯ মিনিটে ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হন ঋতুপর্ণা চাকমা। ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে প্রথমে ফ্রি-কিক নিলেও সেটা প্রতিহত হয় স্বাগতিকদের ডিফেন্স দেয়ালে। কিন্তু ফিরতি শটে লক্ষ্যভেদ করেন ঋতুপর্ণা। ১-০ শূন্যতে লিড নেয় বাংলাদেশ।
প্রথমার্ধের বাকি সময়ে দুদলই কিছুটা এলোমেলো ফুটবল খেলে। কিন্তু বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে বড় সুযোগ পায় মিয়ানমার। অদম্য এ যাত্রায় ভাগ্য সহায় হয় আফঈদাদের। স্বাগতিক স্ট্রাইকারের শট বাংলাদেশের গোলবারে লেগে ফিরে আসে। লিড বজায় রেখেই বিরতিতে যায় পিটার বাটলারের দল।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠে সফরকারীরা। আর ম্যাচে ফেরার প্রাণপণ লড়াই চালিয়ে যায় মিয়ানমার। জমে ওঠে ম্যাচ। এর মাঝেই এশিয়ান কাপের মূল পর্বে যাওয়ার জন্য অলিখিত ফাইনাল হয়ে ওঠা ম্যাচে দ্বিতীয় গোল করেন ঋতুপর্ণা। স্বপ্ন পূরণের ভিত আরও শক্ত হয় বাংলাদেশের।
৮৯ মিনিটে মিয়ানমার এক গোল শোধ করলেও ২-১ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে পিটার বাটলারের শিষ্যরা। এই জয়ে নারী এশিয়া কাপে এক পা দিয়ে রাখল বাংলাদেশ।