এ মৌসুমে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়সহ মোট ৪টি ট্রফি জিতে নেয় পিএসজি। ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালেও তাদের এগিয়ে রাখা হচ্ছিল সবচেয়ে বেশি।
কিন্তু চেলসির সামনে পাত্তাই পেল না লুইস এনরিকের দল। আগের ৬ ম্যাচে তারা স্রেফ বোতাফোগোর বিপক্ষে হারে ১-০ গোলে। বিপরীতে গোল করে মোট ১৬টি, যার চারটি সেমি-ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে।
অন্যদিকে এন্টসো মারেস্কার কোচিংয়ে চেলসি মৌসুম শেষ করল দ্বিতীয় ট্রফি জিতে। গেলো মে মাসে রিয়াল বেতিসকে হারিয়ে উয়েফা কনফারেন্স লিগ জয়ের স্বাদ পায় ব্লুজরা।
কনফারেন্স লিগ ফাইনালেও চেলসির শিরোপা জয়ে দু’টি গোল করান পালমার। এ মৌসুমে ৫২ ম্যাচে ১৮ গোলের পাশাপাশি করিয়েছেন ১৪ গোল।
চেলসির সাফল্যের নেপথ্যের কারিগর গোলরক্ষক রবার্তো সানচেস। গোলের জন্য পিএসজি ৬টি শটের সবগুলোই সেভ করেন তিনি, যার ৪টি-ই ছিল দুর্দান্ত।
সেমিফাইনালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্সকে ২-০ গোলে হারিয়ে আসা চেলসি আক্রমণাত্মক শুরু করে পিএসজির বিপক্ষে। প্রথমার্ধে পিএসজির নেভেস ও দেজিরে দুয়েও বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেন।
এবার চ্যাম্পিয়নস লিগ, লিগ, সুপারকাপ ও ফ্রেঞ্চ কাপজয়ী পিএসজির সামনে সুযোগ ছিল ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে মৌসুম শেষ করার। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
ফাইনালে পালমারের জোড়া গোল ও জোয়াও পেদ্রোর গোলে আনন্দে ভাসে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলটি। ফেভারিট না হয়েও উঁচিয়ে ধরলো ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা।