একদিনের বিরতিতে আবারও প্রতিপক্ষ ভুটান। কিংস এরেনার প্র্যাকটিস গ্রাউন্ড-২ এর রেলিং ও আশপাশের ভবনে স্বাগতিক দর্শকদের ভিড়। সকলের কণ্ঠে ‘বাংলাদেশ.. বাংলাদেশ’ গর্জন। মাঠজুড়ে উৎসবের আমেজ।
পরীক্ষামূলকভাবে তুলনামূলক নতুন একাদশ মাঠে নামতেই বোঝা যাচ্ছিল ছন্দের ঘাটতি। খেলা নয় বরং জার্সি রঙ দেখে চিতে নিতে হচ্ছিলো স্বাগতিকদের।
প্রথম দিকে দু’একটা সুযোগ তৈরি করতে পারলেও গোলের দেখা পাচ্ছিলেন না শিখা-তৃষ্ণারা। ৩০ মিনিটের মাথায় মিডফিল্ডার বন্যার পরিবর্তে ‘নাম্বার সেভেন’ স্বপ্নাকে নামান বাটলার। আর এটিই যেন তার মাস্টারস্ট্রোক।
স্বপ্না মাঠে নেমে প্রথম পাসেই গোলের সম্ভাবনা তৈরি করলেও সেটিতে ব্যর্থ তৃষ্ণা। কিন্তু মিনিট খানেক পরেই স্বপ্নার ডিফেন্স চেড়া পাসে গোলমুখ খোলেন নাম্বার নাইন।
প্রথমার্ধে আর গোল না হলেও মধ্যমাঠে আধিপত্য গড়ে তোলে বাংলার মেয়েরা। দ্বিতিয়ার্ধের শুরু থেকেই ড্রাগন লেডিদের চেপে ধরে স্বাগতিকরা। একের পর এক আক্রমণে আবারও গোল তুলে নেন তৃষ্ণা। যদিও পুরো ম্যাচ জুড়ে অসাধারণ খেলা স্বপ্না পেনাল্টি মিস করে দলের আফসোস বাড়ালেও মিনিট বাদেই দূরপাল্লার শটে গোলকিপারকে বোকা বানিয়ে তুলে নেন নিজের প্রথম ও দলের তৃতীয় গোল।
এরপর একাধিক সুযোগ পেলেও কখনও বারের বাইরে মেরে কিংবা গোলকিপারের হাতে বল তুলে দিয়ে স্কোরলাইন বড় করার সুযোগ হারান তৃষ্ণারা। শেষ পর্যন্ত তিন গোলেই শেষ হয় লড়াই।