পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে থাকলেও টুর্নামেন্টে নেপালের চেয়ে গোল ব্যবধানে বেশ পিছিয়ে স্বাগতিক বাংলাদেশ । অপেক্ষাকৃত কম শক্তিশালী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই ব্যবধানটা কমিয়ে আনার সুযোগ পিটার বাটলার শিষ্যদের। ৫ পরিবর্তন অবশ্য সেই সুযোগটা লুফে নিতে পারেনি। কিংসের অনুশীলন মাঠে শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করলেও কিছুতেই গোলের দেখা পাচ্ছিলো না বাংলাদেশ।
ম্যাচের ১০ মিনিটে বাংলাদেশের প্রথম আক্রমণ। ডাবল সেভে সে যাত্রায় শ্রীলঙ্কাকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক। বাংলাদেশের স্ট্রাইকারদের একের পর এক আক্রমণ মুখ থুবড়ে পড়ছিল লঙ্কান ডিফেন্সের সামনে। যদিও ২৫ মিনিটেই গোলের খাতা খুলে বাংলাদেশ। ডি বক্সের বাইরে থেকে নেয়া শটে শ্রীলঙ্কার জাল কাঁপান কানন রানী বাহাদুর।
৩৮ মিনিটে বল বারে লাগলে ফেরত আসে সুরমার শট। আক্ষেপ বাড়ে স্বাগতিক ডাগ আউটে। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে লিড বাড়ায় বাংলাদেশ। তৃষ্ণার শট বারে লেগে ফেরত এলেও রিবাউন্ডে বল জালে জড়ান পূজা। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে চার পরিবর্তন আনেন পিটার বাটলার। আফঈদা-উমেলা-স্বপ্নারা মাঠে নামলে খেলার গতি৷ তবে কিছুতেই লঙ্কান ডিফেন্স ভাঙতে পারছিলো না বাংলাদেশ স্ট্রাইকাররা।
৫৪ মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি উমেলা মারমা। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন পূজা। স্বপ্নার পাস থকে দূরপাল্লার শটে বল জালে জড়ান রাইট ব্যাক পূজা দাস।
৮২ মিনিটে আবারো হতাশায় পড়তে হয় তৃষ্ণা রানীকে। উমেলার ক্রস থেকে তার নেয়া শট ফেরত আসে বারে লেগে। তবে এর কিছুক্ষণ পরেই সেই আক্ষেপ মেটান তৃষ্ণা। দুর্দান্ত গোলে ব্যবধান করেন ৪-০।
লঙ্কানদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন ক্যাপ্টেন আফঈদা। পেনাল্টি থেকে স্কোরশিটে নাম লেখান এই ডিফেন্ডার। শেষ পর্যন্ত ৫-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ ।