আমি দুর্বার, আমি ভেঙে করি সব চুরমার। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের কবিতার এই লাইন যেন মিলে যায় বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের সঙ্গে। আফঈদারা প্রায় ম্যাচই প্রতিপক্ষ দলকে গোল বন্যায় ভাসিয়ে যেন চুরমার করে দিচ্ছেন।
অনূর্ধ্ব ২০ নারী এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ লড়েছে পূর্ব তিমুরের বিপক্ষে। প্রতিপক্ষ দলকে দাঁড়াতেই দেয়নি সাগরিকা-শান্তি মার্দিরা। গোলের পর গোল করে পুরো ম্যাচে দিশেহারা করে রেখেছে পূর্ব তিমুরকে।
র্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকা পূর্ব তিমুরকে শুরু থেকেই চাপে রাখে বাংলাদেশ। আক্রণাত্মক খেলতে থাকা বাঘিনীরা প্রথম গোল পেয়ে যায় ২০ মিনিটে। কর্ণার থেকে হেড দিয়ে গোল করে দলকে ১-০ তে এগিয়ে দেন শিখা।
এরপরের গোলটা ছিল অসাধারণ। কর্ণার কিক থেকে সরাসরি বল জালে জড়ান শান্তি মার্দি। শান্তির এই অলিম্পিক গোল যেন পুরো ম্যাচে ভক্তদের এনে দিয়েছিল চোখের শান্তি।
ম্যাচের ৩৬ মিনিটে সেট পিছ থেকে গোল করেন নবিরন খাতুন। এরপর প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে গোল পান তৃষ্ণা। ৪-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
বিরতি থেকে আক্রমণের ধার বাড়ায় আফঈদারা। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে বল জালে জড়িয়ে নিজের জোড়া গোল পূরণ করেন তৃষ্ণা। এরপর ৭৩ তম মিনিটে গোল উৎসবে যোগ দেন সাগরিকা। বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ৬-০ গোলে।
ম্যাচের ৮৩ মিনিটে গোল করে জাদুকরী সংখ্যা স্পর্শ করেন তৃষ্ণা। বাংলাদেশের স্কোরলাইন হয় ৭-০। দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ে পূর্ব তিমুরের জালে শেষ পেরক ঠোকেন মুনকি আক্তার। বাংলাদেশ জয় পায় ৮-০ গোলের বড় ব্যবধানে।