ফুটবলের আসরে এবার মুখোমুখি অভিজ্ঞতা আর নতুন স্বপ্নের লড়াই। ফুটবলের সবুজ গালিচায় এবার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দু’টি ভিন্ন গল্পের দল। এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের বাছাইপর্বে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের ক্লাব ফুটবলের অন্যতম সেরা নাম—ঢাকা আবাহনী লিমিটেড।
প্রতিপক্ষ কিরগিজস্তানের নবীন কিন্তু ধনী ক্লাব মুরোস ইউনাইটেড যাদের জন্ম মাত্র দুই বছর আগে। কিন্তু অর্থনৈতিক শক্তি, খেলোয়াড়দের মান এবং অবকাঠামোয় এরই মধ্যে আঞ্চলিক ফুটবলে নিজেদের নাম প্রতিষ্ঠা করেছে তারা।
দল গঠনের শুরু থেকেই মুরোস ইউনাইটেডের লক্ষ্য ছিল আন্তর্জাতিক মঞ্চে জায়গা করে নেওয়া। তারা জানে, বড় জয়ই তাদের আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে যাবে। আর সেই স্বপ্ন নিয়েই তারা এসেছে বাংলাদেশের অভিজ্ঞ আবাহনীকে তাদেরই মাঠে চ্যালেঞ্জ জানাতে।
মুরস কোচ বলেন, ‘আমাদের দেশের যারা আগে খেলতে এসেছে সবাই সফল ছিল। তবে তাদের অভিজ্ঞতাও অনেক বেশি। আমরা নতুন ক্লাব আর আবাহনীকে হারিয়ে নিজেদের পরিচিতি জানান দিতে চাই। ঘরের লিগেও অনেকবার প্রতিপক্ষের মাঠে খেলার অভিজ্ঞতা আছে।তাই এখানে খেলতে আমাদের অসুবিধা হবে না। পরিপূর্ণভাবেই প্রস্তুত আমরা। যদি স্যারের প্ল্যান অনুযায়ী আমরা কাজ করতে পারি তাহলে তাদেরকে ডেস্ট্রয় করতে পারবো।’
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভিজ্ঞ আবাহনী ম্যাচটিকে দেখছে নিজেদের আধিপত্যের মঞ্চ হিসেবে। নতুন মৌসুমের আগে শক্তিমত্তাও বাড়িয়েছে সেভাবেই।
আরও পড়ুন:
ঢাকা আবাহনীর কোচ মারুফুল হক বলেন, ‘বাইরে থেকে আল-আমিন, মোরসালিন এবং কাজিম শাহ আসার কারণে আমি মনে করি, গত বছরের তুলনায় কিছুটা হলেও এবার শক্তিশালী আছে।’
ঘরের মাঠের দর্শক, পরিচিত পরিবেশ আর দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা সব মিলিয়ে তিন পয়েন্টের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামতে চায় তারা। প্রতিপক্ষ কঠিন হলেও চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত আকাশী নীলরা।
মারুফ বলেন, ‘তাদের খেলায় ইউরোপিয়ান কিছু ধাঁচ আছে। এটা আমাদের জন্য ডেঞ্জার এবং এগুলোই বন্ধ করতে হবে।’
ঢাকা আবাহনীর অধিনায়ক আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, ‘স্যার আমাদের পার্ট টু পার্ট কাজটা করিয়েছে যে, সুইচ প্লেয়ার হলে কীভাবে আমাদের অফ করতে হবে, এরা বিল্ড-আপ করলে কীভাবে সেটা অফ করতে হবে। এগুলো নিয়ে আমরা যথেষ্ট কাজ করেছি। যদি স্যারের প্ল্যান অনুযায়ী আমরা পরোটা দিতে পারি তাহলে তাদেরকে ডেস্ট্রয় করতে পারবো, ইনশাআল্লাহ।’
সবমিলিয়ে এ দ্বৈরথ হতে পারে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ বাছাইপর্বের অন্যতম স্মরণীয় ম্যাচ। যেখানে প্রতিটি মুহূর্তে পাল্টে যেতে পারে খেলার রঙ, আর শেষ বাঁশি বাজার আগ পর্যন্ত কে জয়ী তা বলা মুশকিল।