বাফুফে সংলগ্ন আরামবাগ মাঠে কৃত্তিম টার্ফ বসানোর কাজ শেষের পথে

আরামবাগ মাঠে টার্ফ বসানোর কাজ চলছে
ফুটবল
এখন মাঠে
0

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবন সংলগ্ন আরামবাগ মাঠে চলছে কৃত্তিম টার্ফ বসানোর কাজ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী সপ্তাহেই শেষ হবে টার্ফের কাজ। আগস্টের ৩১ তারিখেই পুরোপুরি খেলার উপযোগী হবে এ মাঠ।

দেশিয় ফুটবলে টার্ফের ব্যবহার নতুন কিছু নয়। বেশ কিছুদিন ধরেই কমলাপুর ও বাফুফে সংলগ্ন আরামবাগ মাঠে চলছে টার্ফ বসানোর কাজ। অনেকটা ঢিমেতালে চললেও এবার পুরোদমে চলছে প্রস্তুতি।

ঝড়-বৃষ্টি কিংবা রোদের সাথে নিয়মিত সখ্যতা ফুটবল মাঠের। দেশের ফুটবলে বহুল পরিচিত জাতীয় স্টেডিয়ামের মাঠের কাজ নিয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ। পাঁচ বছর ধরে মাঠের প্রস্তুতি চললেও এখনও বাকি সংস্কার কাজ।

জাতীয় স্টেডিয়ামের পাশাপাশি বাফুফে ভবন সংলগ্ন মাঠে পুরোদমে চলছে টার্ফ বসানোর কাজ। ৩১ তারিখের মধ্যে পুরোপুরি খেলার উপযোগী হবে মাঠ।

গ্রিনফিল্ড ইউরোপের বাংলাদেশ প্রতিনিধি মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, ‘এটার সাববেজের কাজ শেষ। ফিফা থেকে সাববেজের যে টেস্টগুলো ছিল সেগুলোর অ্যাপ্রুভাল আমরা পেয়ে গেছি। এরপরই আমরা টার্ফ লের কাজ শুরু করে দিয়েছি। আজ যে আবহাওয়া আমরা দেখছি আশা করছি এরকম হলে আর পাঁচ ছয় দিনের কাজ আছে। আর বৃষ্টি হলে বৃষ্টির দিন আমাদের কনসিডার কতে হবে।’

কমলাপুর মাঠে ইরিগেশন সিস্টেম থাকলেও আরামবাগ মাঠে নেই সেচ ব্যবস্থাপনা। সব ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষ হলেই পুরোপুরি হবে টার্ফ লের কাজ।

মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, ‘কমলাপুর স্টেডিয়ামের সাববেজের টেস্টও হয়ে গেছে। সেটাও আমরা ফিফার অ্যাপ্রুভাল পেয়ে গেছি। এটার লে করা শেষ হলেই আমরা ওখানে শুরু করে দেবো।’

আরও পড়ুন:

ফিফার স্ট্যান্ডার্ড টার্ফ হওয়ায় খেলোয়াড়দের ইনজুরিতে পড়ার ঝুঁকিটাও খুব কম। আছে শক অ্যাবসর্ব সিস্টেম ও রাবারের ব্যবহার।

মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, ‘খেলোয়াড়দের ইনজুরি কম করার জন্যেই এই শক অ্যাবসর্ব সিস্টেমটা। নরমালি আমরা যেগুলো দেখি আমাদের পড়া মহল্লায় ছোট ছোট ফিল্ড, সেখানে কিন্তু ইনফিল্ড সিস্টেমটা এরকম না। শুধু ঘাসটা থাকে। খেলোয়াড় পড়লেই ইনজুরিতে পড়ছে। ওখানে পড়ে যাওয়া মানেই হলো ইনজুরি। আর আমাদের এখানে শক প্যাড হিসেবে রাবার ইনফিল্ডটা থাকছে। সেজন্য এখানে পড়লে আর ওই ইনজুরিটা থাকবে না।’

আগের টার্ফ ১৪ বছর স্থায়ী হলেও নতুন টার্ফের স্থায়িত্ব নির্ভর করবে মূলত রক্ষণাবেক্ষণের ওপর। কমলাপুরের টার্ফেও বাকি ২০ থেকে ২৫ দিনের কাজ, তবে বৈরী আবহাওয়ায় কিছুটা চ্যালেঞ্জও রয়েছে।

এসএস