
গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দামে চামড়া বিক্রি হয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, গত ১০ বছরের মধ্যে এবার সর্বোচ্চ দামে চামড়া বিক্রি হয়েছে। সঠিকভাবে লবণ না দেওয়ার কারণে কিছু চামড়া নষ্ট হয়েছে। তাছাড়া সরকারিভাবে বেঁধে দেয়া দামে ছাগলের চামড়া ক্রয়-বিক্রয় হয়নি। সেজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।

ট্যানাররা পরিশোধ করছেন না বকেয়া, চামড়া ব্যবসায়ীরা পাচ্ছেন না কাঙ্ক্ষিত দাম
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তম চামড়ার মোকাম যশোরের রাজারহাট। এখানকার ঈদ-পরবর্তী প্রথম হাট জমেনি। এ হাটে ছাগলের চামড়া প্রতি পিস ৫ থেকে ২০ টাকা আর গরুর ২০০ থেকে ৯০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা দায়ী করছেন লবণ ও মজুরির দাম বৃদ্ধি হওয়া এবং ট্যানারি মালিকদের বকেয়া টাকা পুরোপুরি পরিশোধ না করাকে। এদিকে, চামড়া পাচার রুখতে সতর্ক অবস্থায় প্রশাসন।

চামড়া সংরক্ষণে সরকারের বিনামূল্যে দেয়া লবণ বিক্রি!
কোরবানির চামড়া যেন নষ্ট না হয় সেজন্য নাটোরে দুই শতাধিক মাদ্রাসায় সরকারিভাবে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয় লবণ। এরপরও সময়মতো আড়তে চামড়া না আনায় নষ্ট হয়েছে চামড়া। অনেক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই বিনামূল্যের লবণ চামড়া সংরক্ষণে ব্যবহার না করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

চট্টগ্রামের বিক্রি না হওয়া হাজার হাজার চামড়া যাচ্ছে ডাম্পিংয়ে
সড়কে পড়ে আছে হাজার হাজার চামড়া। আতুরার ডিপো, বহদ্দারহাট, চৌমুহনী, নয়ারহাটে এখন বিক্রি না হওয়ায় ফেলে যাওয়া চামড়ার স্তুপ। মূল্যবান চামড়া এখন বর্জ্য ছাড়া আর কিছুই নয়। সকাল থেকে এসব চামড়া পে-লোডার দিয়ে ডাম্প ট্রাকে ভরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডাম্পিংয়ে।

কুষ্টিয়ায় চামড়ার চাহিদা-দামে নেই ভারসাম্য, হতাশ মৌসুমি ব্যবসায়ীরা
কোরবানির পর কুষ্টিয়ায় কাঁচা চামড়া সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাত করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তবে চাহিদা ও দামের মধ্যে ভারসাম্য না থাকায় এবারও হতাশার ছাপ পড়েছে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের মুখে।

নাটোরে চামড়ার ব্যবসায় ধ্স
কোরবানির পর প্রথম দু'সপ্তাহ চামড়ার দাম ভালো থাকলেও হঠাৎ করেই নাটোরের চামড়ার বাজারে ধ্স নেমেছে। লোকসান করে চামড়া বিক্রি করছেন ফড়িয়া ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। এ জন্য পর্যাপ্ত ট্যানারি মালিক না আসা ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

লবণ দেয়া চামড়ার ৯০ শতাংশ বিক্রি, ক্ষতের দাগে নষ্ট ১০%
পুরান ঢাকার পোস্তায় লবণ দেয়া চামড়ার প্রায় ৯০ শতাংশের বিক্রি ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে চামড়া বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা। বিক্রি হওয়া এসব চামড়ার ডেলিভারি হয়েছে ৫০ শতাংশের বেশি। বাকি চামড়ার বিক্রি ও ডেলিভারি আগামী এক মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে চামড়া ব্যবসায়ীদের সংগঠন। তবে পশুর চামড়ায় এক ধরনের ক্ষতের মতো দাগ থাকায় অনেক ব্যবসায়ীর ১০ শতাংশের বেশি চামড়া নষ্ট হয়েছে।

এক মাস লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করবে ট্যানারিগুলো
কোরবানি ঈদের পর থেকে প্রায় এক মাস ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করবে ট্যানারিগুলো। এরইমধ্যে এসব চামড়া সংগ্রহের জন্যে আড়ৎগুলোর সাথে কথা শুরু করেছে ট্যানারি কর্তৃপক্ষ। এদিকে পুরান ঢাকার পোস্তার চামড়ার গুণগত মান দেশের অন্যান্য যেকোন জায়গার লবণযুক্ত চামড়ার চেয়ে ভালো বলে দাম নিয়ে খুব একটা সমস্যা হবে না বলে জানায় বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।

দেশে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের বাজার ৩ বিলিয়ন ডলারের
দেশে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের বাজার ৩ বিলিয়ন ডলারের। বৈশ্বিক বাজারও বিশাল, প্রায় ৪৬৮ বিলিয়ন ডলারের। দেশে শিল্পটির পর্যাপ্ত কাঁচামালও আছে। তারপরও বিশ্ব বাজারে আশানুরূপ ফলাফল নেই। বিগত কয়েক বছরের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়লেও তা প্রত্যাশা পূরণ করেনি। রপ্তানিতে কিছুটা ইতিবাচক সাড়া মিললেও কাঁচামালের অর্থাৎ কাঁচা চামড়ার বাজার তাঁর উল্টো।

বৃষ্টিতে বিপাকে ময়মনসিংহের চামড়া ব্যবসায়ীরা
বৃষ্টিতে চামড়া নিয়ে বিপাকে ময়মনসিংহের চামড়া ব্যবসায়ীরা। লবণ দিয়ে আড়তে স্তূপ করে রাখা চামড়া পানিতে নষ্ট হওয়ার শঙ্কা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কিনে না ট্যানারি মালিকরা। সিন্ডিকেট করে দু'একটি ট্যানারি আসে চামড়া কিনতে।