সরকার কর্তৃক নির্ধারিত দামের সঙ্গে বাজার দরের পার্থক্য এবং উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় চামড়া ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চাপে। আজ (রোববার, ৮ জুন) সকালে কুষ্টিয়া শহরের চামড়া পট্টিতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে তীব্র দরকষাকষি দেখা গেছে। অনেকেই কাঙ্খিত দাম না পেয়ে বাধ্য হয়েই কম দামে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, গরুর লবণযুক্ত চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৫৫ থেকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি।
অন্যদিকে, ঢাকার বাইরে প্রতি পিস চামড়ার ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ১৫০ টাকা। কিন্তু বাস্তবে চামড়ার মান ও আকৃতি বিবেচনায় প্রতি পিস ১০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খাসির চামড়ার সরকারি ক্রয়মূল্য প্রতি বর্গফুট ২২ থেকে ২৭ টাকা এবং বকরির চামড়া ২০ থেকে ২২ টাকা নির্ধারিত থাকলেও বাজারে তা ১০ থেকে ১৫ টাকায় নেমে এসেছে।
চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, চামড়া সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় লবণের দাম বেড়ে যাওয়া, শ্রমিকের মজুরি এবং ট্যানারি মালিকদের বকেয়া পরিশোধ না করার মতো নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাদের। এ কারণে লাভের আশায় না থেকে লোকসান গুনেই চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই।