গেলো মৌসুমে বগুড়ায় ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় ১৩ লাখ টন আলু উৎপাদন হয়, যা জেলার চাহিদার তুলনায় প্রায় ৭ লাখ টন বেশি। বিপুল পরিমাণ আলু হিমাগারে পাশাপাশি কৃষকের ঘরে সংরক্ষণ করা। তবে আবহাওয়ার কারণে কৃষকের ঘরে অনেক আলু পচে নষ্ট হচ্ছে।
বগুড়ার বাজারে কেজিপ্রতি আলু বিক্রি হচ্ছে ১১ থেকে ১৩ টাকায়। যাতে উৎপাদন খরচই উঠছে না। এমন অবস্থায় সামনের দিনে ফসল ফলানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, কেজিপ্রতি আলুতে খরচ হয়েছে ২১ টাকা, বর্তমানে বিক্রি করছে মাত্র ১৫ টাকায়। এমন ক্ষতির মুখে আগামী বছর তারা আলু চাষ আর করতে পারবেন না বলে জানান চাষিরা।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে কৃষকের খরচ প্রায় ১৪ টাকা। হিমাগার ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে কেজিতে খরচ দাঁড়ায় ২৪ থেকে ২৫ টাকা। সেখানে হিমাগার ও বাজারে পাইকারিতে আলু বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকা। কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা লোকসান দিয়ে আলু বিক্রি করায় পুঁজি হারাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন:
ব্যবসায়ীরা জানান, আলুর দাম অনেক কম। স্টোর ভাড়া, যাতায়াত ভাড়া এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ খরচ ছাড়া ২৫০ টাকা রাখতে পারছেন তারা।
আলুর বাজার দর নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আলু মজুত করার পাশাপাশি, সনাতন পদ্ধতিতে কৃষকের বাড়িতে আলু সংরক্ষণের পরামর্শ ব্যবসায়ী নেতার।
বগুড়া চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. সাইরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারের মাধ্যমে আলু ক্রয় করে স্টোরে রাখতে হবে। তাহলে সরকার বাজার অনুযায়ী রেট নির্ধারণ করে দেবে।’
গত বছর এ সময়ে ভোক্তাদের আলু কিনতে হয় ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। আলুর দর বেশি পাওয়ায় এবছর প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে ২ লাখ টন আলু বেশি উৎপাদিত হয় বগুড়া জেলায়।