থোকায় থোকায় ঝুলছে রসালো লিচু। সবুজ পাতার ওপর বিছানো ফল দেখে, জিভে জল আসবে যে কারো। এরই মধ্যে নাটোরের প্রতিটি বাগানে গাছ থেকে লিচু পারতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাগান মালিক ও শ্রমিকরা। বাগানের ভিতরই চলছে বাছাই ও প্যাকেটজাতের কাজ।
এ বছর অণুকুল আবহাওয়ায় লিচুর ফলন ও দাম ভাল হওয়ায় খুশি চাষিরা। তবে গত বছর ১০০ লিচু ২০০ থেকে সর্বোচ্চ আড়াইশো টাকায় বিক্রি হলেও এবার সেখানে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে বাড়তি দামে গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছেন বাগান মালিকরা।
লিচু বাগান মালিকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘এবার ফলন ভালো হয়েছে। আর এবার যে আবহাওয়াটা ছিল, মোটামুটি ভালো ছিল। তাতে লিচুতে পোকাও নেই, বাম্পার ফলন হয়েছে।’
নাটোর জেলায় যে পরিমাণ লিচু চাষ হয়, তার বেশির ভাগই হয় জেলার গুরুদাসপুরে। প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ লিচু চাষ হচ্ছে এখানে। গাছ থেকে পাড়ার পর তা চলে যাচ্ছে স্থানীয় বাজারে।
গুরুদাসপুর উপজেলার বেড়গঙ্গারামপুর বটতলা বাজারে লিচু কিনতে তৈরি হয় উপচে পড়া ভিড়। গুরুদাসপুরের লিচুর স্বাদ ও মান ভাল হওয়ায় প্রতিবছর লিচু কিনতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। যেখানে লিচু ঘিরে প্রতিদিন লেনদেন হচ্ছে অন্তত ৫০ লাখ টাকা।
গুরুদাসপুরের ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রেজাউল করিম তালুকদার বলেন, ‘এখানে প্রতিদিন প্রায় ৫০ লাখ টাকার লিচু বিক্রি হয়। খুব সুন্দর এবং সুস্বাদু লিচু এখানে পাওয়া যায়।’
নাটোরের লিচু আগাম হওয়ায় চাহিদা থাকে বেশি। যার কারণে দিনাজপুরের লিচু বাজারে আসার আগেই তা ফুরিয়ে যায়। ফলে সব মিলিয়ে লিচু আহরণ থেকে বাজারজাত পর্যন্ত একমাসে লেনদেন হবে অন্তত ১২০ কোটি টাকা।