‘বিধ্বস্ত নীলিমায় শামসুর রাহমান স্মরণ’ শীর্ষক এ স্মরণসভায় কবি শামসুর রাহমানের কবিতা ও অন্যান্য সৃষ্টকর্মের নানা বিষয় ওঠে আসে। কবির লেখা কবিতা পাঠ, গান ও নিবন্ধসহ নানা বিষয় ওঠে আসে আলোচনায়।
আলোচনায় বিস্তৃত পরিসরে স্থান পায় নাগরিক জীবনের যন্ত্রণা, ঘাত-প্রতিঘাত, সমকাল ও ইতিহাস ঐতিহ্যকে কাব্যে ফলবান করার নানা দিক। কবির সৃষ্টিকর্মগুলোকে কীভাবে আরও বেগবান করা যায় এসব বিষয়ে আলোচনা করে জেলার সাহিত্যপ্রেমিরা।
স্থানীয় নাট্যকার ও সংগঠক হাসান মাহমুদ সনেটের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি গোলাম কিবরিয়া পিনু এবং কবি ও লেখক ফারহান ইশরাক।
আরও পড়ুন:
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রগতি লেখক সংঘের নরসিংদী শাখার সভাপতি সুমন ইউসুফ। এছাড়া স্থানীয় সাহিত্যপ্রেমী ও নাট্যকর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
কবি গোলাম কিবরিয়া পিনু তার আলোচনায় বলেন, ‘কবিতা একটা ধারাবাহিকতার বিষয়। এ ধারাবাহিকতা রেখেই কবিতা লিখা উচিত। শামসুর রাহমান বিশ্বাস করতেন, কবিরা আকাশে তাকিয়ে কবিতা লেখে না। সমাজ, ব্যক্তিগত ধারণা ও দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কবিতা লিখেন। পদ পদবির জন্য, পুরস্কারের জন্য কখনও বদলাননি আমাদের নাগরিক কবি শামসুর রাহমান। তার কাজ এবং দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সরে আসেননি কখনো।’