সিলেটে গণপরিবহন সংকট, ২২ বছরেও পূরণ হয়নি প্রত্যাশা

এখন জনপদে
0

সিলেট পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশন হবার পর পেরিয়েছে ২২ বছর। তবে, এখনও পর্যটন নগরী খ্যাত শহরে নেই পর্যাপ্ত গণপরিবহন। বিপাকে পড়েছেন শহরের সাধারণ মানুষ। অনেকে জনপ্রতিনিধিই গণপরিবহন নিয়ে সিলেটবাসীর প্রত্যাশা পূরণের আশ্বাস দিলে বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি।

ঘড়িতে তখন সকাল ৯টা। প্রথম ক্লাস ধরতে একদল শিক্ষার্থীর অপেক্ষা গণপরিবহনের। বাসের অপর্যাপ্ততায় তাদের একমাত্র ভরসা সিএনজিচালিত অটোরিকশা। শুধু শিক্ষার্থীরাই নন বরং সিলেট নগরীর নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ দীর্ঘদিনের ভোগান্তির নাম গণপরিবহন।

যাত্রীদের একজন বলেন, ‘জনসংখ্যা বেশি গাড়ি কম। আমরা চাই আরেকটু বেশি গাড়ি হোক।’

আরেকজন বলেন, ‘গাড়ি বেশি হলে টাকাও বাঁচে, সময়ও বাঁচে।’

নগরীর আয়তন ও জনসংখ্যা বিবেচনায় বাড়েনি গণপরিবহনের সংখ্যা যার প্রভাব নগরজীবনে। অপরিকল্পিত পরিবহন ব্যবস্থার কারণে অটোরিকশা বা রিকশার ওপর নির্ভরশীলতায় গুনতে হয় অতিরিক্ত ভাড়া। এমনকি অটোরিকশার দৌরাত্ম্যে নগরীর যানজট দিন দিন তীব্র হচ্ছে।

যাত্রীদের একজন বলেন, ‘সিএনজিসহ ছোট ছোট যেসব পরিবহন আছে সেগুলো সাধারণ যাত্রীদের জিম্মি করছে।’

আরেকজন বলেন, ‘যদি বড় বাস চালু হয় তাহলে আমাদের চলাচল করতে সুবিধা হবে।’

পার্কিং সংকট, বাস দাঁড়ানোর নির্ধারিত জায়গা না থাকার পাশাপাশি অটোরিকশার চোখ রাঙানির কারণে এমনটি হয়েছে বলে অভিযোগ নগর পরিবহন সংশ্লিষ্টদের ।

নগর এক্সপ্রেসের ম্যানেজার বলেন, ‘গাড়ি রাখতে পারি না। সিএনজি, লেগুনা, টমটম আমাদের বাঁধা দেই।’

পর্যটন নগরী সিলেটের এ সমস্যা সমাধানে দেশের অন্যান্য বড় শহরের মত সার্কুলার রোডের সীমানা নির্ধারণ করে দ্বিতল ও মিনিবাস চালুর পরামর্শ নাগরিক প্রতিনিধিদের।

সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহীন বলেন, ‘সিটি মানে সিটি বাস সার্ভিস চালু থাকবে। এখানে যদি পরিকল্পিত রোড ও বাসের রুট নির্ধারণ থাকতো তাহলে এই সমস্যা হতো না।’

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাই রাফিন সরকার বলেন, ‘আমরা সিলেটে নগর সার্ভিস চালু হোক। নগর সার্ভিস চালু হলে এই সমস্যা কেটে যাবে।’

২০১৯ সালে ৪৫টি মিনিবাস নিয়ে শহর এবং শহরতলীর ৪টি রুটে নগর এক্সপ্রেস চালু হলেও মাত্র ৫ বছরের মাথায় এই বাসের সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র ১১টিতে। যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল।

সেজু