শেরপুরে সূর্যমুখী চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের

কৃষি
এখন জনপদে
0

শেরপুরে সূর্যমুখী চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। তেলবীজ উৎপাদনের পাশাপাশি তৈরি হয়েছে কৃষি পর্যটনের নতুন সম্ভাবনাও। জনপ্রিয় এই সূর্যমুখীর বাগান দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন শত শত দর্শনার্থী।

উঁচু করে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি সূর্যমুখী। বাতাসে দোল খাচ্ছে হলুদ ফুলের মেলা। চোখ জুড়ানো এমন সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন শত শত দর্শনার্থী।

শেরপুর সদরের শেরীর চর এলাকার সূর্যমুখী বাগান, শেরপুর -জামালপুর মহাসড়কের পাশের এই বাগান এখন সবার পরিচিত। শুধু স্থানীয়রাই নন, আশপাশের জেলা থেকেও আসছেন অনেকে। পিছিয়ে নেই ভিডিও তৈরি করা ব্লগার, ইউটিউবার ও টিকটকাররাও।

সদর উপজেলা কৃষি বিভাগের প্রণোদনায় লছমনপুরের কৃষকরা শুরু করেন সূর্যমুখী চাষ। বিঘা প্রতি চাষের খরচ ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা, আর আয় হয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। সূর্যমুখী গড় ফলন প্রায় ১৪ মণ এবং প্রতি মণ সূর্যমুখী বীজ বিক্রি হয় ২৫শ’ থেকে ৩ হাজার টাকায়। এছাড়া প্রতি দর্শনার্থীর জন্য ৫০ টাকা প্রবেশ ফি নির্ধারণ করেছেন কৃষকরা। এতে প্রতিদিন গড়ে আয় হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা।

কৃষকদের একজন বলেন, ‘ফুল দেখে বোঝা যায় এবার অনেক ফলন হবে। এছাড়া আমাদের অনেক দর্শনার্থীদের চাপ থাকায় বাড়তি ইনকাম হচ্ছে।’

আরেকজন কৃষক বলেন, ‘আমরা সাড়ে ৪ একর জমি আবাদ করেছি।’ দর্শনার্থীদের একজন বলেন, ‘এখানে এসে ভালো লাগছে। জায়গাটা অনেক সুন্দর।’

আরেকজন বলেন, ‘অনেক বড় ফুলের বাগান। দেখতে ভালোই লাগছে।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে বাস্তবায়ন হচ্ছে সূর্যমুখী প্রদর্শনী। এছাড়া কৃষকদের নতুন ফসল চাষে দেওয়া হচ্ছে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও পরামর্শ। ভবিষ্যতে কৃষি পর্যটনেও সম্ভাবনা সৃষ্টির পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।

শেরপুর সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার মুসলিমা খানম নীলু বলেন, ‘কৃষি শুধু কৃষিতে নেই এখন। কৃষি এখন পর্যটনে রুপান্তর হয়েছে। মানুষ এই মাঠে এসে আনন্দ পাচ্ছে। আমাদের এখানে ১৫ বিঘার মতো সূর্যমুখী চাষ হয়েছে।’

শেরপুর জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘সূর্যমুখী ফুল চাষ দিয়ে আমাদের এখানে আরেকটা পর্যটনের এরিয়া তৈরি হলো।’

চলতি বছর জেলায় প্রায় ১৪ টন সূর্যমুখী বীজ সংগ্রহের আশা রয়েছে, যার বাজার মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা।

সেজু