গাইবান্ধার চরাঞ্চলে চলছে মরিচ ও ভুট্টা উত্তোলন। প্রতিদিনই শত শত টন মরিচ উত্তোলন হলেও মরিচ চাষিরা পাচ্ছেন না কাঙ্ক্ষিত দাম। একই অবস্থা ভুট্টার। দাম না পাওয়ার পেছনে ফসল সংরক্ষণ ও বিপণন ব্যবস্থা না থাকাকে দুষছেন চাষিরা।
গাইবান্ধার ফুলছড়ি চরের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে হয়েছে মরিচ, ভুট্টা, গম আর বাদামের অবাধ। সকাল হলেই যমুনা পার হয়ে উৎপাদিত পণ্য নিয়ে হাট-বাজারে ছুটেন চাষিরা। নদীতে পানি না থাকায় পণ্য পরিবহনের একমাত্র বাহন ঘোড়ার গাড়ি।
গাইবান্ধায় ছোট বড় চরের সংখ্যা প্রায় ১৮০ টি। চাষিরা জানান, বাজার ভেদে লাল শুকনো মরিচ বিক্রি হয় ২শ টাকা কেজি দরে। আর কাঁচা মরিচের কেজি মাত্র ১৮ টাকা। এ দামে মরিচ বিক্রি করে উৎপাদন খরচই উঠছে না। এ অবস্থায় মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাড়তি টোল ইস্যু।
এমনিতেই উৎপাদিত পণ্যে মুনাফা কম পাচ্ছেন চাষিরা। তারও পর আবার দিতে হচ্ছে বাড়তি খাজনা। আদায়কারীদের মুখেও উঠে আসে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়টি।
ফসলে ন্যায্য দাম নিশ্চিতে স্থানান্তরযোগ্য শস্য সংরক্ষণাগারের উপর গুরুত্বারোপ করেন কৃষি অর্থনীতিবিদরা। একই সাথে বাজার ব্যবস্থা উন্নতি করার উপর জোর দেন তারা।
বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন একাডেমি চর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টারের ইনচার্জ ড. আব্দুল মজিদ বলেন, ‘চরে আমরা যদি ছোট পরিসরে সংরক্ষণাগার তৈরি করতে পারি। যা সহজে স্থানান্তরযোগ্য হবে এবং যেটা সোলার দিয়ে করা সম্ভব। এটি আমাদের পল্লী উন্নয়ন একাডেমি করেছি। এমন সংরক্ষণাগারে যদি কৃষকরা সবজি সংরক্ষণ করতে পারে তাহলে তারা কিছুটা হলেও ন্যায্যমূল্য পেতে পারে।’