ঈদুল আজহায় পশু বিক্রিতে লাভের আশায় ফরিদপুরের চরবাসী

ফরিদপুরের  চরাঞ্চলে পশু পালন
এখন জনপদে
1

ঈদুল আজহা আর সপ্তাহ দুই পরেই। ফরিদপুর জেলার তিনটি উপজেলার পদ্মা ও আড়িয়াল খা নদীর বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চরাঞ্চল। এ সকল চরাঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষগুলো সারা বছর অপেক্ষায় থাকে কবে ঈদ আসবে। কারণ চরাঞ্চলের প্রত্যেকটি পরিবারেরই রয়েছে একাধিক পশু। ঈদের সামনে পশুটিকে বিক্রি করে ভালো পয়সা পাবে এই আশায় লালন পালন করে থাকে বছরজুড়েই।

ফরিদপুরের নর্থ চ্যানেল, ডিক্রীরচর ও চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন ছাড়াও চরভদ্রাসন, সদরপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে পদ্মা ও আড়িয়াল খা'র দুর্গম চরাঞ্চল।

নর্থ চ্যানেল চরাঞ্চল ইউনিয়নের চরধোলাই এলাকার ফিরোজ মোল্লা। তার ২৬ টি ভেড়া রয়েছে। তিনি আশা করছেন এবারের ঈদে ভেড়াগুলোকে ভালো দামে বিক্রি করে ভালো পয়সা রোজগার হবে। আর তাতেই তার পরিবারের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে আগামী বছরটি ভালোভাবে কাটবে। একইভাবে জেলার ১৩ টি ইউনিয়নের চরে বসবাসকারী পরিবারগুলোর স্বপ্ন বাধে ঈদকে নিয়ে।

আসন্ন ঈদে ফরিদপুর জেলার মোট চাহিদার ৪৫ শতাংশ পশু সরবরাহ হয় চরাঞ্চল থেকে বলে জানান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু। চরের প্রত্যেকটি পরিবারেরই গরু, ছাগল, ভেড়া লালন-পালন করে। চরের প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে বেড়ে ওঠা এই পশুগুলোর চাহিদাও রয়েছে জেলা জুড়ে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস বললেন, 'জেলার মোট পশুর চাহিদার একটি বড় অংশ চরাঞ্চল থেকে পেয়ে থাকি আমরা। এবার ঈদে ফরিদপুর জেলার পশুর চাহিদা রয়েছে ১ লক্ষ ৮ হাজার, চরাঞ্চলসহ আমাদের অন্যান্য অঞ্চল মিলে জোগান রয়েছে ১ লক্ষ ১০ হাজারের বেশি।'

সেজু