গাজীপুরে শিশুকে ধর্ষণের পর ভিডিওধারণ ও ধর্ষণ চেষ্টায় ২ জন গ্রেপ্তার

এখন জনপদে
0

গাজীপুরের শ্রীপুরে বরমী ইউনিয়নের দরগার চালা এলাকায় এগারো বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ করে ভিডিওধারণের অভিযোগে আরমান (২৭) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। অপরদিকে মাওনা এলাকায় মাদ্রাসার আট বছর বয়সী এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল মালেককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।

শনিবার (৮ মার্চ) রাত ১০টার দিকে উপজেলাযর দরগার চালা এলাকা থেকে অভিযুক্ত আরমানকে আটক করা হয় ও মাওনা উত্তর পাড়া খান বাড়ি এলাকা থেকে অভিযুক্ত ঐ শিক্ষককে আটক করা হয়।

আরো পড়ুন: ধর্ষকদের ঘৃণা করুন ও সামাজিকভাবে বয়কট করুন: জামায়াত আমির

অভিযুক্ত আরমান ময়মনসিংহের পাগলা থানার নিগুয়ারী গ্রামের শামছুলের ছেলে এবং শিক্ষক আব্দুল মালেক নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা থানার শিবপুর গ্রামের মাহতাব উদ্দিনের ছেলে। তিনি মাওনা উত্তরপাড়া বাগে জান্নাত নূরানী হাফিজি মাদরাসার শিক্ষক।

আরো পড়ুন:

জানা যায়, ১ মার্চ দরগার চালা এলাকায় এগারো বছর বয়সী এক শিশুকে কৌশলে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ এবং ভিডিও ধারণ করে আরমান নামে এক যুবক। পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে গেল রাত ১০টার দিকে অভিযুক্ত আরমানকে আটক করে পুলিশে দেয়।

অপরদিকে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে মাওনার বাগে জান্নাত নূরানী হাফিজি মাদরাসায় পড়তে গেলে মাদ্রাসায় কোন শিক্ষার্থী না থাকার সুযোগে আট বছর বয়সী এক শিশু শিক্ষার্থীর স্পর্শকাতরস্থানে হাত দেয় মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল মালেক।

আরো পড়ুন:

এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে ওই শিশু মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দেয়। পরে গতকাল বিষয়টি জানাজানি হলে রাতেই স্থানীয়রা ওই শিক্ষককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

শ্রীপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম আখতার বলেন, 'ধর্ষণ চেষ্টা ও ধর্ষণের অভিযোগে দুজনকে আটক করা হয়েছে। আজ (রোববার, ৯ মার্চ) তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুপুরে ওই দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।'

সেজু