মেয়ে বলেন, ‘আগে যাওয়া যেত, কিন্তু এখন তো যাওয়া যায়না তারকাটার কারণে। বাবা মারা গেলে তো আর দেখা পাবো না, তবে সরকার যদি কখনও সুযোগ করে দেয় তাহলে হয়ত আবার দেখা পাবো।’
যুগ যুগ ধরে দুই বাংলার মানুষের মাঝে আত্মিক সম্পর্ক। আগে সহজ থাকলেও কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের পর কঠিন হয়ে পড়েছে যাতায়াত। অনেক দরিদ্র পরিবার সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে পাসপোর্ট-ভিসা নিয়ে যাতায়াত করলেও বর্তমানে ভিসা জটিলতায় সেই পথও এখন প্রায় বন্ধ। তাছাড়া চিকিৎসা ও ব্যবসায়িক কাজে নিয়মিত ভারত যাতায়াতকারীরা ভিসা না পেয়ে পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। এতে বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।
একজন অটো-রিকশাচালক বলেন, ‘আগে তো বাংলাবান্ধায় প্রচুর যাত্রী আসা যাওয়া করতো, অনেক লোক হত। কিন্তু এখন ভিসা দিচ্ছেনা, তাই আমাদের আয় রোজগার কম হচ্ছে।’
একজন দোকানি বলেন, ‘আগে যেখানে দুই-চার-পাঁচশো যাত্রী যাতায়াত করতো, সেখানে এখন যাত্রী নেই বললেই চলে।’
ইমিগ্রেশন পুলিশ বলছে, আগে দৈনিক দুই থেকে তিনশো মানুষ যাতায়াত করলেও এখন তা কমে দাঁড়িয়ে ১৫ থেকে ২০ জনে। যাদের বেশিরভাগই ভারতীয় নাগরিক।
একজন স্থানীয় বলেন, ‘এখন যারা আসছে তারা প্রায় সবাই ভারতীয়, বাংলাদেশি নেই বললেই চলে।’
বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন পুলিশ ইনচার্জ ফিরোজ কবির বলেন, ‘বর্তমানে যাত্রীসংখ্যা অত্যন্ত কম যার গড় প্রায় ৫০। এর মধ্যে ভারতীয় এবং নেপালি শিক্ষার্থীরাই বেশি। আর বাংলাদেশি রোগী ও ব্যবসায়ী বিসা যাদের আছে তারাই মূলত যাতায়াত করছে।’
২০১৬ সালে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট চালু হয়। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ভারত, নেপাল ও ভুটানকে একসাথে যুক্ত করেছে বাংলাবান্ধা। তাই চালু হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠে এই ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট।