সুনামগঞ্জের ১৩৭ টি হাওরে বোরো ধানের আবাদ করেন কৃষকরা। তবে প্রতিবছর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার করচার হাওরে উৎপাদন হয় প্রায় ৮ হাজার মেট্রিক টন ধান। তবে গত বছর আগাম বন্যায় হাওরের ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়।
এপ্রিল মাসে শেষ হবে ১৫টি হাওরে ২৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ফ্লাড ফিউজের কাজ। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হলে ঘরে তুলতে পারবেন কষ্টার্জিত ফসল। একই সাথে বাজারে থাকবে পর্যাপ্ত ধানের সরবরাহ।
স্থানীয় কৃষকদের একজন বলেন, ‘বাঁধ বানানো হয় ঠিকই, তবে কয়েকদিন পর বর্ষাকালে সেটা ভেঙে যায়।’
আরেকজন বলেন, ‘যদি একটা স্থায়ী বাঁধ এখানে দেয়া হয়, তাহলে সেটা আমাদের মতো কৃষকদের জন্য খুব উপকারী হয়।’
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা জানান, ফ্লাড ফিউজের কাজ শেষ হলে প্রতিবছর বাঁধ নির্মাণে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয় হবে না। পাশাপাশি রক্ষা পাবে হাওরের ফসল ও পরিবেশ প্রকৃতি।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, ‘বিভিন্ন সমীক্ষা করা হয়েছে এবং পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করে প্রকল্পের সার্বিক বিষয়গুলো নিশ্চিত করা হয়েছে।’
চলতি বছর সুনামগঞ্জের হাওর অঞ্চলে প্রায় ১০ লাখ কৃষক দুই লাখ ২৩ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ করেছেন। যার বাজার মূল্য অন্তত সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা।