নড়াইল শহরের ২২ কিলোমিটার পৌরসভায় এক সময় ছিল সাড়ে ছয় শতাধিক পুকুর ও জলাশয়। এখন আছে মাত্র ১২০টি। প্রতিনিয়ত বালি উত্তোলন করে ড্রেজারের মাধ্যমে পাইপ দিয়ে বন্ধ করা হচ্ছে উন্মুক্ত জলাশয়। এতে করে বছরে বছরে বৃদ্ধি পাচ্ছে এ জনপদে গরমের তীব্রতা ও আগুনের ঝুঁকি।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত এক দশকে জেলা শহরে পাঁচ শতাধিক পুকুর ও জলাশয় ভরাট করে নির্মাণ হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা।
গত এক বছরে নড়াইলে ৯৯টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পুকুর না থাকায় পানির সংকটে পড়ছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ফলে পানির অভাবে অনেক সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে খেতে হয় হিমশিম।
এদিকে উন্মুক্ত জলাশয় না থাকায় সাঁতার শেখার সুযোগ হারাচ্ছে শিশু-কিশোররা। গত এক বছরে পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫০ জনের, যার মধ্যে চিত্রা নদীতে গোছল করতে নেমে মারা গেছে অন্তত দশটি শিশু।
নতুন করে পুকুর খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ও কোন পুকুর ভরাট করতে না পারে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসন।
নড়াইল শহর থেকে যদি এভাবে পুকুর ও জলাশয় হারিয়ে যায়, তাহলে একদিকে যেমন প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হবে, তেমনি ঝুঁকির মুখে পড়বে জনজীবন।