আজ (বুধবার, ৩০ এপ্রিল) দুপুরে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ জনতা, মুরাদনগর উপজেলার’ ব্যানারে মুরাদনগর উপজেলা সদরে এই বিক্ষোভ মিছিল হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘মুরাদনগর বিপ্লবী কমিটি’ সদস্য সচিব নাহিদুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিতে স্বজনপ্রীতি এবং বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে আমরা তার পদত্যাগ দাবি করেছি।’
আসিফ মাহমুদের পদত্যাগ দাবিতে শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি মুরাদনগর উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এবং পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা।
এদিকে, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পদত্যাগের দাবিতে মিছিলটি পুলিশি বাধা এবং জোর করে মিছিলের ব্যানার কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে।
তবে ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, ‘বুধবার দুপুরে মুরাদনগর উপজেলা সদরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ ছাত্র জনতার ব্যানারে মুরাদনগরে আওয়ামী লীগ মনোনীত সাবেক এমপি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন ও সাবেক এমপি জাহাঙ্গীর আলম সরকারের লোকজন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করতে চায়। সেই বিক্ষোভ মিছিলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দেখতে পেয়ে বাধা দিলে আমি ও আমার সঙ্গীও ফোর্সদের ওপরে ইউসুফ আবদুল্লাহর আস্থাভাজন মোহাম্মদ আলী, নজরুল ইসলাম, শাহজাহান, নায়েব আলী এবং হোমনা উপজেলার চান্দেরচর ইউনিয়নের নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান মোজাম্মেলের ছোট ভাই বাবুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায়।’
তিনি দাবি করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তো এরা না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তো কমিটি আছে। এরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধী। আওয়ামী লীগের লোকজন মিলিয়ে ব্যানারে আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা হচ্ছে। এ ছাড়া তারা মিছিল করার জন্য কোনো অনুমতি নেয়নি। হঠাৎ করেই একটি মিছিল বের করছে, কিন্তু কারা করছে এটিও আমাদের দেখার বিষয়।
এদিকে, উপদেষ্টা আসিফের পদত্যাগ দাবিতে মিছিলে ব্যবহৃত ব্যানারটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নয় উল্লেখ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা জেলার আহ্বায়ক সাকিব হোসাইন জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুরাদনগর উপজেলা কমিটি আছে। যারা মিছিল করেছে তারা উপজেলা কমিটির কেউ না। ব্যানারে নামটি কেউ রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে।
উল্লেখ্য, কুমিল্লার মুরাদনগরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা কমিটি গঠন নিয়ে সেসময় একাংশ প্রতিবাদ করে। পরে জেলা থেকে ঘোষিত কমিটি বহাল থাকে। এ ছাড়া মুরাদনগর উপজেলায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের অনুসারীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে উত্তেজনা খবর পাওয়া গেছে।