সিরাজগঞ্জে ইন্টারচেঞ্জ নির্মাণকাজ মার্চেই শেষ, বদলাবে উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের ভাগ্য

সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল ইন্টারচেঞ্জের বর্তমান ছবির সাথে প্রকল্পের নকশার ছবি
এখন জনপদে
0

দ্রুত এগিয়ে চলছে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল ইন্টারচেঞ্জের নির্মাণকাজ। দেশের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এই প্রকল্প চালু হলে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ২২ জেলার সাথে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগ যেমন সহজ হবে, তেমনি গতি পাবে ব্যবসা-বাণিজ্য। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে জাতীয় অর্থনীতিতে। আগামী বছরের মার্চেই কাজ শেষের আশা প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের।

উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোল চত্বর। ঢাকা-বগুড়া, ঢাকা-রাজশাহী, আর ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের সংযোগ স্থল এটি। দুই জাতীয় মহাসড়কের সংযোগস্থল এবং অন্তত ১০টি স্থলবন্দরের সড়ক যোগাযোগের কেন্দ্র এই গুরুত্বপূর্ণ মোড়। আর এখানেই গড়ে উঠছে দেশের সবচেয়ে বড় ও আন্তর্জাতিক মানের হাটিকুমরুল ইন্টারচেঞ্জ।

আলাদা ছয়টি র‍্যাম্প ও একটি গ্রাউন্ড রোড থাকবে ইন্টারচেঞ্জে। ঢাকামুখী ও উত্তর-দক্ষিণমুখী যান চলবে আলাদা র‍্যাম্প দিয়ে, আর ধীরগতির যান চলবে নিচের গ্রাউন্ড রোডে। ৭৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চায়না রেলওয়ে ব্রিজ করপোরেশন। ২০২৬ সালের মার্চেই কাজ শেষ করার লক্ষ্য প্রকৌশলীদের।

প্রকল্পের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এখন চেষ্টা করছি যে ঢাকা থেকে বগুড়া, ঢাকা থেকে পাবনা এবং বগুড়া থেকে পাবনা এই আন্তঃসংযোগটা চালু করতে। এ ছাড়াও এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আমাদের যে র‍্যাম্পগুলো আছে, সেগুলো চালু করে দেব। আমরা ধীরে ধীরে জনগণের জন্য এটা চালু করে দেব।’

দেশের সড়ক যোগাযোগে প্রথমবারের মতো ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে এ প্রকল্পে। সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে এবং যানবাহন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই প্রযুক্তি। ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে প্রকল্পটির বাউন্ডারি ওয়াল, কালভার্ট ও মূল স্থাপনার পাইলের নির্মাণকাজ।

ইন্টারচেঞ্জটি সম্পূর্ণ নির্মাণ শেষ হলে বদলে যাবে উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা। কমবে যানজট, তৈরি হবে নতুন শিল্পকারখানা, বাড়বে কর্মসংস্থান।

সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘এই উত্তরাঞ্চলে যে যানজটগুলো হতো, বিশেষ করে সিরাজগঞ্জের এই প্রান্তে যমুনা সেতুর পরেই হাটিকুমরুলের যানজট থেকে মানুষ মুক্তি পাবে।’

সিরাজগঞ্জ জেলা বাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি হিল্লোল তালুকদার বলেন, ‘এটা হয়ে গেলে খুব অল্প সময়ে ও অল্প খরচে স্থলবন্দরে পণ্য পরিবহন সম্ভব।’

এসএইচ