ফরিদা আখতার বলেন, ‘কাপ্তাই লেক থেকে আমরা যে মাছ পাই, সেটাকে আরও বাড়ানো সম্ভব। মাছের প্রজাতি বাড়ানো সম্ভব। আমরা যে রাজস্ব আয় করি সেটা অবশ্যই বাড়ানো সম্ভব। কাপ্তাই লেক মানুষের জীবন জীবিকার সাথে জড়িত। মানুষের ভালো থাকার সাথে জড়িত। এটা শুধু রাঙামাটির বিষয় না। এটা সারা বাংলাদেশের গর্ব। এটাকে রক্ষা করা আমাদের খুব দরকার।’
এসময় উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রজনন মৌসুমে কাপ্তাই লেকের জেলেরা মাসে মাত্র ২০ কেজি খাদ্য সহায়তা পান। এটা খুবই অপ্রতুল। এখন থেকে সারাদেশের জেলেদের মতোই মাসে ৪০ কেজি খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। এছাড়া প্রজনন মৌসুমের পরও নভেম্বরে আরও একটি নিষেধাজ্ঞার বিষয় জেলেদের দাবি বিবেচনা করা হবে।’
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সুরাইয়া আখতার জাহান সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন, রাঙামাটি ডিসি মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বক্তব্য রাখেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) অনুপ কুমার চাকমা, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র, রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার, পুলিশ সুপার ড. এসএম ফরহাদ হোসেন।
পরে উপদেষ্টা মাছের প্রজনন মৌসুম ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত আগামী তিনমাস মাছ শিকার নিষিদ্ধ থাকায় নিবন্ধিত ২৬ হাজার ৮৬৬ জন জেলেকে বিশেষ ভিজিএফের আওতায় মাসে ২০ কেজি হারে চাল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এছাড়া চলতি মৌসুমের জন্য কাপ্তাই হ্রদে ৫৪ মেট্রিকটন কার্পজাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করার কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।