হাতের সামান্য চাপেই ভেঙে যাচ্ছে ব্লক। নিম্নমানের এই ব্লক দিয়েই করা হচ্ছে সড়কের স্লোপ। নিম্নমানের এ কাজ নিয়ে উদ্বিগ্ন স্থানীয় বাসিন্দারা।
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার ৪ ইউনিয়নের লক্ষাধিক বাসিন্দার যাতায়াতের সুবিধায় গেল বছরের ডিসেম্বরে শুরু হয় বাঁচামারা বাজার থেকে আমতলী পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ। প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ টাকার এই প্রকল্পে কাজ পায় যশোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আইসিএল প্রাইভেট লিমিটেড।
সড়ক নির্মাণ কাজের শুরু থেকেই অনিয়মের অভিযোগ ওঠে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বিরুদ্ধে। সড়কের কাজে মাটি বাবদ ৮০ লাখ ১৫ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও মাটি কেটে নেয়া হয়েছে পাশের ফসলি জমি থেকে।
স্লোপের ব্লকে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের উপকরণ। কালভার্টে ২০ মিলিমিটার রডের বদলে ব্যবহার করা হয়েছে ১৬ মিলিমিটার রড। এছাড়া, সড়কে ফেলা হয়েছে নিম্নমানের খোয়া। এমন অনিয়মে ক্ষোভে ফুঁসছেন সড়কে যাতায়াতকারী দুটি কলেজ, পাঁচটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
সড়ক নির্মাণ কাজে অনিয়মের বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী।
চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছরের জুলাই মাসের ২৫ তারিখে শেষ হওয়ার কথা সড়ক নির্মাণ প্রকল্পটির। তবে, নির্মাণের ধীরগতি ও নিম্নমানের কাজের কারণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে পুরো প্রকল্প নিয়েই।