বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিতে বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দিন দিন বাড়ছে বজ্রপাতের হার। বাড়ছে হতাহতের ঘটনাও। নিহতের বিপরীতে আহতের সংখ্যাও কম নয়। অন্তত ৩ গুণ বেশি। তাৎক্ষণিক প্রাণে বেঁচে গেলেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন না অনেকেই। আর মৃতদের মধ্যে ৭০ ভাগই কৃষক।
এপ্রিল ও মে মাস সাধারণত ধান কাটার মৌসুম। এ সময় বৃক্ষহীন খোলা প্রান্তরে ধান কাটামাড়াই কাজে ব্যস্ত থাকেন কৃষক। বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে হয় তাদের। এতে প্রায়ই বজ্রপাতের শিকার হন তারা।
কৃষকদের একজন বলেন, ‘বৃষ্টি আশার আগে আগে বজ্রপাত শুরু হয়। যাদের কাজ করি তারা আমাদের ছুটি দেয় না। যার ফলে আমাদের মাঠে থাকতে হয়।’
আরেকজন বলেন, ‘মেঘ বৃষ্টি দেখি না মাঠে থাকি ধান সংগ্রহের জন্য।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বজ্রপাত বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বায়ুদূষণ। এপ্রিল থেকে মে মাস পর্যন্ত দেশের বাতাসে প্রচুর পরিমাণে ধূলিকণা ও সালফেট-মেঘের গঠনে প্রভাব ফেলে। এতে বাড়িয়ে তোলে বজ্রপাতের সম্ভাবনা।
এ সময় আকাশে কালো মেঘ দেখা দিলে মাঠ-ঘাট ও খোলা প্রান্তর থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নেয়ার পরামর্শ তাদের।
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেক্ট্রিক্যাল বিভাগের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক নিপুল চন্দ্র কর্মকার বলেন, ‘যদি সরকারিভাবে বজ্র নিরোধক কোনো প্রকল্প নেয়া হয় বজ্রপাত রোধে তাহলে মৃতের সংখ্যা কমে আসবে।’