কর্মশালায় আম রপ্তানি বাড়াতে রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা হয়। এতে আম সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা বাড়বে। অন্য দিকে সম্প্রসারিত হবে বিদেশে আম রপ্তানির সুযোগ।
গোস্তাপুর উপজেলার আম চাষি জাহাঙ্গীর আলম সোহান বলেন, ‘আমচাষিদের নিয়ে কেউ তেমন চিন্তা করে না। কীভাবে উন্নত প্রজাতির আম উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি বাড়ানো যায় এটা নিয়ে চিন্তা করা দরকার। এই জন্যই এখানে আসা। এসে অনেক কিছুই শিখলাম। এখন থেকে রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন করতে পারব আশা করি।’
শিবগঞ্জ উপজেলার আম চাষি আহসান হাবিব বলেন, ‘জন্মগতই আম চাষের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু কীভাবে রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন করা যায় জানতাম না। এখানে এসে অনেকটা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি।’
কর্মশালায় ঢাকা দক্ষিণের জামায়াতে ইসলামীর আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে আম রপ্তানি নিয়ে কেউ এগিয়ে আসিনি। তাই বিদেশে বাংলাদেশের আম তেমন বাজার দখল করতে পারেনি। এতে চাষিরাও রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদনে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেনি। তবে আজকে চাষিরা অনেক কিছুই শিখেছে।’
কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম মানিক, শিবগঞ্জ প্রডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খান শামীম, ঢাকা শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্টিকালচার বিভাগের প্রফেসর ড. জসিম উদ্দিনসহ অন্যরা।