রায়ের সময় আসামি বাচ্চু আদালতে উপস্থিত ছিল। বাচ্চুর বিরুদ্ধে ১ম স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে রাজবাড়ী জেলায় আরো একটি মামলা চলমান রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে জেলার মধুখালী উপজেলায় একটি মুরগির ফার্মে কাজ করার সুবাদে ওই এলাকার মৃত মতিয়ার রহমানের মেয়ে শান্তার সাথে রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দ থানা এলাকার ছাত্তার শেখের ছেলে ও মামলার আসামি বাচ্চুর বিয়ে হয়।
বিয়ের তিন মাস পর তার স্ত্রীকে যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করত বাচ্চু। পরে একাধিকবার থানায় ও স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হওয়ার পর শান্তাকে নিয়ে সংসার করতে রাজি হয় তারা স্বামী বাচ্চু।
২০২২ সালের ২৮ অক্টোবর জেলার সদর উপজেলার দিরাজতুল্লাহ মাতুব্বর ডাঙ্গী এলাকায় স্ত্রীকে নিয়ে এমবিআই এগ্রো ফার্মে বাচ্চু তার স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে ও সিগারেট দিয়ে মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতন করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ তালা ভেঙ্গে ঘরের ভিতর থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের মা জরিনা বেগম বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় আসামির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত আজ এ রায় দেয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী মিয়া রতন রায়ের বিষয় নিশ্চিত করে জানান, আসামি বাচ্চুর বিরুদ্ধে তার স্ত্রী শান্তাকে হত্যার অভিযোগে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আজ এ রায় দেন। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করছে। পরে আসামিকে পুলিশ পাহারায় জেল হাজাতে পাঠানো হয়।