অর্থকষ্টে সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা; বিকল্প কর্মসংস্থানের কথা বলছে প্রশাসন

কক্সবাজার
এখন জনপদে
0

সরকারের বিধিনিষেধে দীর্ঘদিন ধরে পর্যটক শূন্য সেন্টমার্টিন। বন্ধ হোটেল-রেস্তোরাঁ। সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞায় কর্মহীন হাজারো জেলে। সবমিলিয়ে বিরূপ প্রভাব পড়েছে দ্বীপের অর্থনীতিতে। সংকট মোকাবিলায় বিকল্প কর্মসংস্থানের চেষ্টার কথা বলছে জেলা প্রশাসন।

আগে দ্বীপের বেশিরভাগ বাসিন্দা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করলেও সময়ের সাথে ঝুঁকেন পর্যটন ব্যবসায়। তবে, সরকারের বিধিনিষেধে কমেছে পর্যটন মৌসুমের সময় ও ভ্রমণকারীর সংখ্যা। পাশাপাশি এপ্রিল-মে’তে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞায় চরম অর্থসংকটে জেলেরাও। সব মিলিয়ে বিরূপ প্রভাব পড়েছে দ্বীপের অর্থনীতিতে।

স্থানীয়রা বলেন, ‘পর্যটক না থাকায় স্থানীয়দের জীবিকায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে। বাইরে থেকে চাল,ডাল না আনলে জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। স্বল্প আয়ের মানুষের আয় নেমে এসেছে প্রায় ১০ শতাংশে।’

দ্বীপে নিত্যপণ্য পৌঁছাতে নৌপথে টোল দিতে হয় দুই দফা , এতে বাড়ে পণ্যের দাম। এ ছাড়া দ্বীপ থেকে কোথাও যেতে লাগে সরকারের অনুমতি। এতোসব নিয়মের বেড়াজালে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।

তারা বলেন, ‘১০ মাস বন্ধ থাকার পর আমাদের এখন চলতে খুব কষ্ট হচ্ছে। আয় রোজগার বন্ধ। সারাদিন কাজ করে ২০০/৩০০ টাকার মতো আয় হয় যা দিয়ে বাজার ও সম্ভব হয় না।’

গেল ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে প্রতি রাতে সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটকের থাকার অনুমতি ছিল সেন্টমার্টিনে। এ অবস্থায় দ্বীপবাসীর জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান গড়ে তোলা না হলে ভয়াবহ সংকটের শঙ্কায় স্থানীয়রা। এই সংকট থেকে উত্তরণে এবার বিকল্প পথ খুঁজছে প্রশাসন। পর্যটনের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে দ্বীপে কৃষির উন্নয়ন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সেন্টমার্টিনে বসবাসরত বাসিন্দাদের বিকল্প কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক সক্ষমতার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে সরকারের পক্ষ থেকে। ’


ইএ