শেষ মুহূর্তে ব্যস্ততা বেড়েছে কামার শিল্পীদের

বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত কামার শিল্পীরা
এখন জনপদে
0

রাত পোহালেই ঈদুল আজহা। শেষ মুহূর্তে ব্যস্ততা বেড়েছে কামার শিল্পীদের। লোহা পুড়িয়ে দিনরাত চলছে দা, বটি, ছুরি ও চাপাতি তৈরির কর্মযজ্ঞ। অনেকে মাংস কাটার পুরনো সরঞ্জাম মেরামতের জন্য ভিড় করছেন কামারশালাগুলোয়।

কয়লার চুলায় আগুন আর টুংটাং শব্দে মুখর ফরিদপুর শহরের কামার পট্টি। আগুন রাঙা লোহার খণ্ডে চলছে ভারি হাতুড়ির বাড়ি। কেউ ছুরি-বঁটিতে দিচ্ছেন শান, কেউবা হাপর টেনে বাড়িয়ে দিচ্ছেন আগুনের তীব্রতা। ভোর থেকে রাত নিরবচ্ছিন্নভাবে চলছে এই কর্মযজ্ঞ।

ঈদ সামনে রেখে শহর থেকে গ্রাম সবখানেই বাড়ছে নতুন ছুরি-চাপাতির চাহিদা। পাশাপাশি পুরোনো দা, বঁটি ধার দিতেও ভিড় করছেন অনেকেই। দোকানগুলোতেও সাজিয়ে রাখা হয়েছে পশু জবাই ও চামড়া ছাড়ানোর প্রয়োজনীয় নানা সরঞ্জাম। যেখানে একেকটি বটি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৬শ টাকায়, চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৬শ থেকে ৮শ টাকায়।

তবর কারিগররা বলছেন, বর্তমানে চায়নার তৈরি ছুরি ও চাপাতিতে বাজার সয়লাব। এদিকে, কয়লা ও লোহার দাম বাড়লেও বাড়েনি শ্রমিকদের মজুরি। ফলে প্রতিনিয়ত লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের।

ঈদুল আজহার সময় জেলার ৯ টি উপজেলার প্রায় ৪২০ টি দোকানে ব্যবসা হয় অর্ধ কোটি টাকার। তাই সারা বছরের ঘাটতি পোষাতে দিনরাত পরিশ্রম করে বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম তৈরি করছেন কামার শিল্পীরা।

এএইচ