তবে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে দিন আনা দিন খাওয়া শ্রমজীবীরা। রোদ আর গরমকে উপেক্ষা করেই জীবিকার তাগিদে সকাল থেকে সড়কে নামছেন তারা। বিশেষ করে রিকশাচালক ও ঠেলাগাড়িচালকেরা পড়েছেন সবচেয়ে বিপাকে। গরমে নাকাল হয়ে কেউ গাছের ছায়ায় জিরিয়ে নিচ্ছেন, কেউ রাস্তার পাশে রসালো আনারস খেয়ে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন; আবার কেউবা রিকশার সিটে হেলান দিয়ে একটু ঘুমিয়ে নিচ্ছেন। অনেকেই মাথা ঘোরা, বমিভাব, দুর্বলতা ও শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যায় ভুগছেন।
মুক্তাগাছা উপজেলা থেকে আসা ষাটোর্ধ্ব রিকশাচালক আকবর মিয়া জানান, ঈদের পর কয়েকদিন কাজ করতে পারেননি। সংসারের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। রোববার এনজিও কিস্তির দিন, তাই বাধ্য হয়ে আজ রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছেন। গ্যারেজ থেকে ৩৫০ টাকা ভাড়ায় ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে শহরে নেমেছেন উপার্জনের আশায়।
টাউনহল থেকে পাটগুদাম ব্রিজ মোড় পর্যন্ত এক যাত্রী নামিয়ে মাত্র ৫০ টাকা আয় করেছেন। এরপরই মাথা ঘুরে উঠলে পাশের গাছের ছায়ায় রিকশার সিটে হেলান দিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন তিনি। আকবর মিয়ার মতো আরো অনেক শ্রমজীবীরই একই অবস্থা; গরমে নাকাল, আয়ও কম।
এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার ময়মনসিংহে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুরের পর তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করেছে তারা।