সরেজমিনে পাটুরিয়া ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাটে দেখা যায়, ফেরি ও লঞ্চ দুটোতেই যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। বাস, প্রাইভেট কার, মাইক্রো বাস ও মোটরসাইকেলে করে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট হয়ে মানুষ পাটুরিয়ায় আসছেন। যাত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে মোটরসাইকেল আরোহীদের।
বিশেষ করে পাটুরিয়া লঞ্চঘাটে ভিড় ছিল নজরকাড়া। সকাল থেকে প্রতিটি লঞ্চে ধারণক্ষমতার তুলনায় বেশি যাত্রী নিয়ে পাটুরিয়া ঘাটে আসতে দেখা গেছে।
ঢাকার সাভার উপজেলার উদ্দেশে যাচ্ছিলেন বাগেরহাট থেকে আসা নুসরাত জাহান। তিনি বলেন, ‘ভিড় একটু বেশি, তবে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রওনা দিয়েছি। নিরাপদেই লঞ্চ পার হয়ে যাচ্ছি।’
ফেরিঘাটে যাত্রী নিয়ে আসা বাস চালক শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘অন্য ঈদের তুলনায় এবার ফেরিঘাটে কোনো জটলা হয়নি। নির্বিঘ্নে গাড়ি পার হচ্ছে, যাত্রীরাও শান্তিতে ফিরছেন।’
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১৬টি ফেরি এবং ১৮টি লঞ্চ চলাচল করছে। যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে প্রতিটি ফেরি ও লঞ্চ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি ট্রিপ দিচ্ছে।
শুধু পাটুরিয়া নয়, মানিকগঞ্জের আরিচা ঘাটেও বাড়ছে যাত্রীর চাপ। পাবনার কাজিরহাট থেকে ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোটে যাত্রীরা আরিচা ঘাটে এসে নেমে ঢাকার দিকে রওনা দিচ্ছেন। বিশেষ করে পাবনা, সিরাজগঞ্জ থেকে আসা যাত্রীরা এই রুটে বেশি ব্যবহার করছেন।
যাত্রীরা জানিয়েছেন, এবার ঈদের ছুটি শেষে ফিরতি যাত্রায় সড়কে কিংবা ফেরিঘাটে কোনো দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়নি তাদের। পুলিশ, নৌপুলিশ, ট্রাফিক বিভাগ এবং স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বিত ব্যবস্থাপনায় যাত্রাপথে ছিল না কোনো বিশৃঙ্খলা।
পাবনার যাত্রী জাহিদ হাসান বলেন, ‘আমরা ভয়ে ছিলাম ফেরার সময় কষ্ট হবে। কিন্তু কোনো সমস্যা হয়নি। ফেরিতে সময়মতো উঠেছি, শান্তিতেই ঢাকার পথে।’
বিআইডব্লিউটি আরিচা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম আব্দুস সালাম জানান, আজ সকাল থেকেই যাত্রী ও যানবাহনের চাপ অন্যান্য দিনের চেয়ে একটু বেশি। সেজন্য আমাদের প্রস্তুতিও ভালো রয়েছে। ১৬টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। যেহেতু পাটুরিয়া এলাকায় যাত্রী এবং যানবাহন কম তাই ফেরিকে এই ঘাটে অপেক্ষা না করিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নদীতে পানি বৃদ্ধি ও স্রোতের কারণে কিছুটা সময় বেশি লাগলেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না পারাপারে।